ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ডিজিটাল নথির যুগে প্রবেশ করল জাবি

জাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
ডিজিটাল নথির যুগে প্রবেশ করল জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল নথির (ডি-নথি) যুগে প্রবেশ করলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)।

রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) মিলনায়তনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ডি-নথি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ডি-নথির কার্যক্রম চালু হওয়ার ফলে প্রশাসনিক কাজ-কর্মে গতি বাড়বে। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ডি-নথির কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ’

এ সময় তিনি ডি-নথির সফলতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গতানুগতিক মানসিকতা পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি- এই চার স্তম্ভের ওপর নির্মিত। স্মার্ট জনশক্তি তৈরির প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে অনলাইন প্রকাশনা পোর্টাল, অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম অটোমেশনের মতো কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। আজ ডি-নথি ব্যবস্থাপনা চালু করার মধ্য দিয়ে দাপ্তরিক ফাইল ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ আরও সহজ হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ও ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

ডি-নথির কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আবু হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম. শামীম কায়সার, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।

ডি-নথি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইলের কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হবে। উপাচার্যসহ সব পর্যায়ের অনুমোদনকারী ব্যক্তিরা যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় ফাইল অনুমোদন করতে পারবেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় ও খরচ যেমন কমবে, তেমনি কাগজ সাশ্রয় হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আরও বেশি নিশ্চিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।