ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘প্রধানমন্ত্রী ৫ মিনিট সময় দিলে শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফিরবেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
‘প্রধানমন্ত্রী ৫ মিনিট সময় দিলে শিক্ষকরা কর্মস্থলে ফিরবেন’

ঢাকা: গত ৯ দিন ধরে বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বুধবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে তারা সন্তুষ্ট নন।

 

শিক্ষকরা বলছেন, বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী তাদের বলেছেন গবেষণার মাধ্যমে যাচাই করা হবে শিক্ষকদের মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি না। তা ছাড়া শিক্ষকদের দাবি মানা হবে না। শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষকরা।

তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি তাদের সঙ্গে পাঁচ মিনিট সময় দিয়ে কথা বলেন এবং তাদের দাবির যৌক্তিকতা যদি প্রধানমন্ত্রী শোনেন, তাহলেই কেবল সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাবেন। তা ছাড়া শিক্ষকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরবেন না।  

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে ১১ জুলাই থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির নবম দিনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক ও আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ  শেখ কাউসার আহমেদ এ নিয়ে কথা বলেন।

শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো সুনির্দিষ্ট করে শেখ হাসিনার কাছে তুলে ধরতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব। আমরা চাই, প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দাবিগুলো শুনে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। আমরা চাচ্ছি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা। এখনই বাস্তবায়ন করতে হবে না। এটা নির্বাচনের পরে বাস্তবায়ন করলেও হবে। আর এখন শুধু আমাদেরকে আশ্বস্ত করতে হবে, আমাদের দাবিসমূহ মানা হবে।

বিটিএ সাধারণ সম্পাদক ও আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ শেখ কাউসার আহমেদ এ সময় শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, আপনি হচ্ছেন একজন ডাক্তার, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ পেশায় আপনি থাকতে পারেননি। আপনি একবার ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আবার আপনাকে বানানো হলো শিক্ষামন্ত্রী, এরপর আগামী নির্বাচনে আপনাকে হয়তো বা কোনো দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বানিয়ে দেবে। পেশার প্রতি ভালবাসা না থাকায়, হয়তো বা আপনি আমাদের বিষয়টি বুঝতে পারছেন না।

তিনি বলেন, আমরা যারা এ পেশায় আছি, তারা জেনে-বুঝে শুনেই আছি। আমাদের শিক্ষকদের যোগ্যতা ছিল অন্য ভালো কোনো সরকারি কাজ করার। তবুও শিক্ষকতা পেশাকে ভালবেসে আমরা বেছে নিয়েছি। শিক্ষকতা হলো একটি সেবামূলক কাজ। তাই আমরা চাই, আপনারা আমাদের দাবিগুলো মেনে নিন, যাতে আমরা আমাদের কর্মস্থলে পুনরায় ফিরে যেতে পারি।  

তিনি আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রী, আপনি যে বলছেন আমাদের জাতীয়করণ কোন নিয়মের ভেতর পড়ে না। যদি এটিই হতো, তাহলে যে সরকার ৩৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৪০টি কলেজ জাতীয়করণ করেছে, সেগুলো কোন নিয়মে জাতীয়করণ করা হয়েছে। ঠিক একই পদ্ধতিতে আমরাও আমাদের জাতীয়করণ চাই। এখানে প্রধানমন্ত্রীকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই।  প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, আপনার কিছুই দেওয়ার দরকার নেই, শুধুমাত্র ৫ মিনিট আমাদের সঙ্গে কথা বলুন, তাহলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে চলে যাব।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২৩
ইএসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।