ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবির নতুন ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান লেক, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
জবির নতুন ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান লেক, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): ঢাকার কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে শেষ হয়েছে বৃত্তাকার লেক খনন ও পাড় বাঁধাইয়ের কাজ। ক্যাম্পাসে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ঘষা মাজা।

দুইশ একরের ক্যাম্পাসের মধ্যে বৃত্তাকারে খনন করা লেকটির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যা এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য ফুটে উঠেছে জবি ক্যাম্পাসে।

জানা যায়, খননকৃত এ লেকের প্রস্থ ৪৬ মিটার ও গভীরতা ১০ মিটার। আর বৃত্তাকার লেকের মোট পরিধি প্রায় দুই সহস্রাধিক মিটার। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে শুরু হয় ক্যাম্পাসের লেক খনন কাজ। এ কাজ শেষ হওয়ার পর শুরু হয় পাড় বাঁধাই।

সম্প্রতি পাড় বাঁধাইয়ের কাজও সমাপ্ত হয়। কাজের মেয়াদ ছিল আগামী আগস্ট পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের প্রায় আড়াই মাস আগেই লেকের কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউআইএডিএল জেবি। দ্রুতগতিতে কাজ শেষ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।  

এদিকে লেক খনন ও পাড় বাঁধাইয়ের পর লেকের মধ্যে বয়ে যাচ্ছে জলরাশি। যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরাও পুরান ঢাকা থেকে যাচ্ছেন নতুন ক্যাম্পাসের লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. শাকিল ফকির বলেন, ক্যাম্পাসের নির্মাণে গতি আসা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো লাগার মতো বিষয়। এখন বাকি কাজগুলোও দ্রুত শেষ করা হোক। বিশেষত হলগুলো আগে করা উচিত। কেননা আবাসন সংকট আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা।  

নতুন ক্যাম্পাসের মাস্টারপ্ল্যান সূত্রে জানা যায়, পুরো ক্যাম্পাসের মধ্যে বৃত্তাকারভাবে হবে এ লেক। বৃত্তাকার লেকের মধ্যে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা। আর বৃত্তের বাইরে নির্মিত হবে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন এবং কয়েকটি খেলার মাঠসহ অন্যান্য স্থাপনা। তন্মধ্যে নির্মাণ করা হবে একটি স্টেডিয়ামও। মোট আটটি দৃষ্টিনন্দন সেতু দিয়ে লেকের ভেতর ও বাইরের অংশকে এক করা হবে। তন্মধ্যে বড় চারটি সেতু হবে যানবাহন চলাচলের জন্য, অপর ছোট চারটি সেতু হবে মানুষ হেঁটে পারাপারের জন্য।  

এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী জানান, লেকের ভেতর ও বাইরে বিভিন্ন স্থাপনা হবে এবং লেকের ওপর থাকবে বেশ কয়েকটি সেতু। সব মিলিয়ে কাজ শেষ হলে জবির নতুন ক্যাম্পাস দেশের অন্যতম সুন্দর ক্যাম্পাসে পরিণত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, লেকের কাজ দ্রুত হয়েছে। ক্যাম্পাসের কাজে দ্রুতগতি নিশ্চিত করতে আমি রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি। শিগগিরই আমরা বালু ভরাটসহ অন্যান্য কাজ সমাপ্ত করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।