ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়

ঢাকা: সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনোক্রমেই প্রতিষ্ঠান প্রধান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠি সোমবার (১২ জুন) সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডি, ব্যবস্থাপনা কমিটি, ম্যানেজিং কমিটি এবং অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের কাছে পাঠানো হয়।

‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ সংক্রান্ত’ এক চিঠিতে একথা জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১১/১১ ধারায় ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিতে প্রথম প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর। তবে সমপদে বা উচ্চতর পদে (উচ্চতর পদ বলতে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান বুঝাবে) নিয়োগের ক্ষেত্রে ইনডেক্সধারীদের জন্য বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ ৬০ বছর পর্যন্ত প্রদেয় হবে। তবে ঐতহ্যবাহী ও মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে এবং সরকারের কোনো আর্থিক সুবিধা/এমপিও না নেওয়ার শর্তে সরকারের অনুমোদনক্রমে শুধু প্রতিষ্ঠান প্রধানের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে।  

এক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে আর্থিকসহ সকল দায়ভার বহন করতে হবে এবং সরকার এর কোনো দায় বহন করবে না। এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রধানের মেয়াদ সরকারের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও কোনোক্রমেই ৬৫ বছরের বেশি হতে পারবে না- মর্মে প্রতিষ্ঠান প্রধান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। এটা সুস্পষ্ট যে, সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠান প্রধান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও বিধি মোতাবেক জ্যৈষ্ঠ শিক্ষকের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর না করে বর্ণিত ধারার ভুল ব্যাখ্যা করে স্বপদে থেকেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অনুমোদনের প্রস্তাব প্রেরণ করছেন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি, ব্যবস্থাপনা/ম্যানেজিং কমিটিও উক্তরূপ বিধি বহির্ভূত কাজে সম্পৃক্ত থাকছেন, যা সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন না করার সামিল এবং জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর (১৮/১ (গ) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত বছরের ১৭ অক্টোবর অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ বিষয়ে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয় উল্লেখ করে বলা হয়, কোনো অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ৬০ বছর পূর্তিতে অবসরে গেলে সহকারী প্রধান শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানে সহকারী প্রধান শিক্ষক না থাকলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়া সরকারি আদেশের পরিপন্থী। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আসলে সেই তারিখ তিনি দায়িত্ব পুনরায় গ্রহণ করতে পারবেন।

চিঠিতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বয়স ৬০ বছর পূর্তিতে বর্ণিত বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তর না করলে সংশ্লিষ্ট অবসরপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের কল্যাণ ও অবসর সুবিধা বাতিল এবং জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর (১৮/১ (খ) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি, ব্যবস্থাপনা/ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ শূন্য ঘোষণাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এমআইএইচ/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।