ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গবেষণার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে: উপাচার্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
গবেষণার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে: উপাচার্য

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাজ শিক্ষাদান ও জ্ঞান সৃজন করা। গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান সৃজন হয়।

শিক্ষকরা আজ যে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন, এটি তাদের গবেষণা কাজের মূল্যায়ন। মূল্যায়ন মানুষকে কাজের প্রতি উৎসাহিত করে। শুধুমাত্র অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা নন, তাদের দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হন।

তিনি বলেন, অ্যাওয়ার্ড পাওয়া যেমন প্রশান্তির, তেমনি চ্যালেঞ্জেরও। এ অ্যাওয়ার্ডের মর্যাদা রক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা, গবেষণা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের নিরলস প্রচেষ্টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে শিক্ষা-গবেষণার ক্ষেত্রে একটি অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে এবছর ইউজিসি থেকে গবেষণাখাতে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এ অর্থের যথাযথ ব্যবহারের জন্য গবেষণার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে। নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করে গবেষণা করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরও গবেষণার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেলে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচ স্কুলের পাঁচজন শিক্ষককে ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড-২০২২ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকার একটি চেক, একটি সনদপত্র ও একটি মেডেল দেওয়া হয়।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলভুক্ত পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আক্তারুল ইসলাম, জীববিজ্ঞান স্কুলভুক্ত ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলভুক্ত সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানভীর হুসাইন, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুলভুক্ত ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী এবং কলা ও মানবিক স্কুলভুক্ত ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ আলম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মোহাম্মদ দিদারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও সঞ্চালনা করেন সেন্টারের যুগ্ম পরিচালক প্রফেসর ড. লস্কর এরশাদ আলী।

অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানভীর হোসেন, ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদুল আলম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. আক্তারুল ইসলাম শিক্ষা ছুটিতে থাকায় তার পক্ষে বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান ও শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।