ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জারুলের মুগ্ধতা ছড়িয়েছে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে

হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
জারুলের মুগ্ধতা ছড়িয়েছে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে

শাবিপ্রবি (সিলেট): ‘হিজল বনে মেঘ নেমেছে, জারুল ফুলে রঙ জমেছে আমার মনের গহীন কোণে, তোমার কথা লুকিয়ে শোনে। ’ বলছিলাম সবুজ পাতা আর বাদামি বর্ণের বাকল বিশিষ্ট জারুল ফুলের কথা।

কবির কণ্ঠে শোভিত এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে শাহজালালল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে এককিলো রোড ধরে সামনে এগোলেই দেখা মিলবে রাস্তার দুই পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোতে থরে থরে সাজানো জারুল ফুল। এমন লোভনীয় ফুলের দিকে তাকালে ক্ষণিকের জন্য হলেও সবাই দুঃখ-কষ্ট ভুলতে বাধ্য।

প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুন মাসে গাছে গাছে ফোঁটা জারুল ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। অনেকে খোঁপায় জারুল গুঁজে নিজেদের সজ্জিত করেন। কেউ কেউ মোবাইলে ছবি তুলে সে সৌন্দর্য ধারণ করে রাখেন।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এককিলো রোডের দুই পাশে, ভিসি বাংলো, অতিথি ভবন, ডরমিটরি, ছাত্রী হল রোড, একাডেমিক ভবনের পাশে, ইউনিভার্সিটি সেন্টারের সামনে, কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের রাস্তা জুড়ে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে, শাহপরাণ সংলগ্ন রোড ও পাশ্ববর্তী টিলায়, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন রোডসহ পুরো ক্যাম্পাসে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের জারুল গাছগুলোতে ফুটেছে ফুল। ফুলের এমন দৃশ্যে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

জারুল সৌন্দর্য্য ছড়ানোর পাশাপাশি ওষুধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। এর বীজ, ছাল এবং পাতা ডায়াবেটিস রোগ, জ্বর, অনিদ্রা, কাশি ও অজীর্ণতায় ওষুধি হিসেবে কাজ করে। জারুলের ওষুধি গুণ ও এর সৌন্দর্যের বাহারি পসরায় শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ফিরেছে সজীবতা প্রাণের ছোঁয়া।

সকালে ক্যাম্পাসে হাঁটতে বের হয়েছিলেন ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী লুৎফর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সময়ে সকাল-দুপুর, কিংবা পড়ন্ত বিকেলে জারুল গাছগুলোতে নৈসর্গিক সৌন্দর্য চোখে পড়ে। জারুল আমার পছন্দের ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই এখন ক্যাম্পাসে হাঁটলে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে। তাই ক্যাম্পাসে এমন দৃষ্টিনন্দন ফুল-ফলের গাছগুলো আরও বেশি লাগানো দরকার।

সুমাইয়া ইসলাম নামের আরেক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের সবুজ ক্যাম্পাসগুলোর মধ্যে আমাদের ক্যাম্পাস অন্যতম। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যকে আরও বিকশিত করতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফুল-ফল, বজন ও ওষুধি গাছ লাগানো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যে ক্যাম্পাসে যত বেশি সবুজ গাছগাছালি বিদ্যমান, সে ক্যাম্পাস তত বেশি সুন্দর। ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্য রাখতে যা য়া করণীয় আমরা সেটা করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।