ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উন্নয়ন ফি না পেয়ে সংকটে জাবির বিভাগগুলো

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
উন্নয়ন ফি না পেয়ে সংকটে জাবির বিভাগগুলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, (জাবি): প্রশাসন উন্নয়ন ফি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগের সভাপতি। তাদের দাবি, উন্নয়ন ফি না পেয়ে সংকটে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলো।

বিভাগ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় দ্রুত বিভাগসমূহের উন্নয়ন ফি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাবদ ছয় হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল করে। ফলে ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সময় আলাদা করে বিভাগ উন্নয়ন ফি দিতে হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা থেকে যা আয় হয় সেখান থেকে বিভাগের উন্নয়নের জন্য ফি বরাদ্দ দিয়ে থাকে বিভাগগুলোয়। গত দুই বছর সেটি হয়ে এলেও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার বেশ কয়েক মাস পার হয়ে গেলেও বিভাগের উন্নয়নের জন্য ফি দেওয়া হয়নি।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে। ৬ মাস পার হওয়ার পরও এখনও উন্নয়ন ফি না পাওয়ায় সংকটে পড়েছে বিভাগগুলো। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শামীমা সুলতানা বলেন, গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম বরাবর কলা ও মানবিকী অনুষদের নয় সভাপতির স্বাক্ষরসহ একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়। আবেদনে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভাগ উন্নয়ন ফি দেওয়ার জন্য উপাচার্যকে বলেছি। বিভাগের অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করতে গেলে অনেক খরচ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আমাদের প্রাপ্য অংশ না দেয় তাহলে বিভাগ চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, বিভাগ যে কীভাবে চলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে নেই। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার পদে যারা আছে তাদের কোনো কাজ তো থেমে নেই। অথচ বিভাগসমূহের উন্নয়নের জন্য কোনো রকম ফি দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বিভাগের একটা মিটিংয়ের জন্য ৪০০ টাকা বরাদ্দ থাকে মাত্র, আমার বিভাগে শিক্ষক ২৬ জন। এই টাকা একটা মিটিংয়ের জন্য কি যথেষ্ট? বর্তমানে সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বগতিতে আছে। বিভাগের সভাপতির রুম ১৫ বছর আগে যেমন আছে এখনও তেমন। কর্তৃপক্ষ উন্নয়ন ফি’র টাকা না দিলে তো বাড়ির জায়গা-জমি বিক্রি করে বিভাগ চালাতে পারব না।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, বিভাগের উন্নয়ন ফি এখনও দেওয়া হয়নি। কলা ও মানবিকী অনুষদের সভাপতির দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা এ বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন। বিভাগগুলোকে শিগগিরই উন্নয়ন ফি দেওয়ার চিন্তা আমরা করছি। কবে নাগাদ উন্নয়ন ফি দেওয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না তবে যে কোনোভাবে ম্যানেজ করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩  ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।