ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আরও ২ হল, কমবে আবাসন সংকট

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
জাবিতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আরও ২ হল, কমবে আবাসন সংকট

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে নির্মিত ছয়টি হলের মধ্যে চারটি হল প্রাধ্যক্ষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শিক্ষার্থী ওঠানো হয়েছে দুটি হলে।

আরও দুটি হলে শিক্ষার্থী ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে।  

উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে ১৯ নম্বর ছাত্রী হল ও ২২ নম্বর ছাত্র হল। হল দুটি উদ্বোধন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট ও গণরুম সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ছয়টি আবাসিক হলের মধ্যে দুটির নির্মাণকাজ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়। গত ২৩ জানুয়ারি ১৮ নম্বর ও ২১ নম্বর হলের চাবি তুলে দেওয়া হয় প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ছায়েদুর রহমান ও ড. তাজউদ্দিন শিকদারের হাতে। পরে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি দুটি হলে শিক্ষার্থীদের তোলা হয়।  

এছাড়া গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) নবনির্মিত ১৭ নম্বর ছাত্রী হল ও ২০ নম্বর ছাত্র হলের চাবি সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক হল প্রভোস্ট বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও প্রাধ্যক্ষ কমিটির এক যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিগগিরই ১৭ নম্বর ছাত্রী হল ও ২০ নম্বর ছাত্র হলে শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দেওয়া হবে। নতুন হলে বরাদ্দ পেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচ থেকে ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হল পরিবর্তন করে নতুন হলে আসন বরাদ্দের সুযোগ পাবে।  

নতুন হলের বাকি দুটি চালু হলে আবাসন সংকট সমাধান হবে বলে আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আনিসুজ্জামান সানি বাংলানিউজকে বলেন, শুনছি হলগুলোর কাজ প্রায় শেষ। দ্রুত উদ্বোধন করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট আর থাকবে না। দ্রুত হলগুলো উদ্বোধন করে শিক্ষার্থী ওঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ১৯ নম্বর ছাত্রী হল ও ২২ নম্বর ছাত্র হলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শেষ মুহূর্তের কিছু ছোট কাজ চলছে। আমরা ইতোমধ্যে চারটি হলের চাবি সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছি। জুনের মধ্যেই আমরা পুরোপুরিভাবে হলগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো বলে আশাবাদী। পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল উদ্বোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ও শিক্ষার্থী ওঠাবে। নতুন এ হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংকট সমাধানে বদ্ধপরিকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক চরিত্র আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে চাই। নতুন দুটি হলে আমরা শিগগিরই শিক্ষার্থী তুলবো। অল্প কিছু আসন সংকট থাকবে তবে আমাদের গণরুম আর থাকবে না। আমরা চাইবো শিক্ষার্থীরাও আমাদের সহযোগিতা করবে। সবাই এগিয়ে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক চরিত্র ফিরিয়ে আনা সহজ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।