ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আতিয়ার রহমানের বিদায় সংবর্ধনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
খুবির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আতিয়ার রহমানের বিদায় সংবর্ধনা

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমানকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।  

সোমবার (০৬ মার্চ) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।

বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার কথা তুলে ধরে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে মনে রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কেবল নিজ বিভাগের কাজ আন্তরিকতার সাথে সম্পন্ন করেছেন তাই নয়, সামগ্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে, সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে তিনি অবদান রেখেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামের রূপকার হিসেবে তার নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেক্টরে তার যোগাযোগ ও কর্মকাণ্ডের ব্যাপ্তি এবং তথ্য-ধারণা ছিলো উল্লেখযোগ্য।

এসময় দীর্ঘ কর্মজীবনের পথচলার নানা দিক তুলে ধরে আবেগঘন বক্তব্য রাখেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মুজিবুর রহমান, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান, অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডল, উপ-রেজিস্ট্রার শেখ আরিফ নেওয়াজ, উপ-রেজিস্ট্রার মো. হেমায়েত মিয়া, উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার গৌতম চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফটোগ্রাফার মাকসুদ জামান ও পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. জয়নাল ফরাজী। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিদায়ী পরিচালককে বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে যোগদান করে ২০০৫ সালে সহকারী রেজিস্ট্রার এবং ২০০৭ সালে উপ-পরিচালক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। একই বিভাগের পরিচালক পদে তৃতীয় গ্রেডে সরাসারি নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তিনি গত ০১ জানুয়ারি যোগদান করেন। পেশাগত কাজের বাইরে তিনি প্রাজ্ঞসর চিন্তক হিসেবে পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতু ও করিডোর এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত নকশার সচিত্র ধারণা দিলে তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ভারতসহ দেশের ৫টি ইউটিউব চ্যানেল তাঁর সেই সচিত্র-নকশা প্রতিবেদন আকারে প্রচার করে, যার ভিউয়ার প্রায় ২০ লাখ। খুলনার গল্লামারী থেকে জিরোপয়েন্ট নির্মাণাধীন চারলেন দৃষ্টিনন্দন মহাসড়ক তৈরি ও সম্প্রসারণের তিনি মূল পরিচিন্তক, প্রস্তাবক ও সচিত্র প্রথম নকশা তৈরিকারী। জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকের উপ-সম্পাদকীয় কলামে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তার ৩০টির বেশি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক প্রকাশনায় তিনি সক্রিয় অবদান রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।