ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে যৌন নিপীড়নের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি 

জাবি করেসপডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
জাবিতে যৌন নিপীড়নের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি 

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়ন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পুরাতন রেজিস্টার ভবন প্রদক্ষিণ করে নতুন রেজিস্টার ভবনের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো হলো- শিক্ষক জনির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার নজির নিশ্চিত করতে হবে, দায়মুক্তিপত্রের ঘটনায় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টির তদন্ত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের অংশ্রহণের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতির নীতিমালা তৈরি করতে হবে।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপাচার্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কিন্তু তিনি এমন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন যার সদস্যদের সঙ্গে জনির নিয়মিত উঠাবসার সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কি করে বুঝবো এই কমিটি নিরপেক্ষ তদন্ত করবে? আমরা অবিলম্বে একটি সুষ্ঠ তদন্ত কমিটি চাই। তদন্তের মাধ্যমে শিক্ষক নামক এই অপকর্মকারীকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক।

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, যে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার কথা, জ্ঞানের কথা বলার কথা সেখানে তারা আজ শিক্ষার্থীদের শিক্ষক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে  অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন। এগুলোর মাধ্যমে তারা অশিক্ষকসুলভ আচরণের বহিঃপ্রকাশ করছেন। এধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা তাদের অবস্থান নিচে নামাচ্ছেন। একজন শিক্ষক যার নামে ভ্রুণ হত্যার মতো একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ রয়েছে সেখানে সেখানে তদন্তের জন্য এমন এক কমিটি গঠন করা হয়েছে যেটি কোনো অভিযোগ খুঁজে পায়নি বলে আমাদের আইওয়াশ করছে।

ছাত্র ফ্রন্ট জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, একজন অপরাধী শিক্ষককে বাঁচাতে এই প্রশাসন তার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। যার প্রমাণ আমরা সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে দেখেছি। আমরা জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন সহকারী প্রক্টর মিলে ভুক্তভোগীকে এনে দায়মুক্তিপত্র লেখাতে জোর করেছেন। তারা মাহমুদুর রহমান জনিকে বাঁচাতে তাদের চেষ্টার কমতি রাখছেন না। এখন পর্যন্ত প্রক্টর স্যার তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেননি। তাহলে কি আমরা ধরে নিবো তিনি এই অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন!

এসময় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি ইমতিয়াজ অর্ণব ও সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায়, ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন, সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামি আল জাহিদ প্রীতমসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।