ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আলভী ও সানির অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে সংহতি সমাবেশ 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩
আলভী ও সানির অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে সংহতি সমাবেশ 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা পুনর্বহালের দাবিতে চলমান আন্দোলনের দুই সংগঠক আলভী মাহমুদ ও বখতিয়ার উদ্দিন সানির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশী নির্যাতন বন্ধের দাবিতে সংহতি সমাবেশ পালন করা হয়েছে।  

শনিবার (৪ জানুয়ারি) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট আয়োজিত সংহতি সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, আটক সানির বড় ভাই মাহফুজ আনাস সাব্বির, মাওলানা ভাসানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুনুর রশিদ, লেখক গবেষক আলতাফ পারভেজ, এরশাদ বিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক জাফর হোসেন, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  

ঢাবি অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে আপনি অপরাধ করবেন, অন্যায় করবেন, চাঁদাবাজি করবেন কোনো সমস্যা নেই। আপনি শুধু ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের লেজুড়বৃত্তি করলেই আপনি নেতা হয়ে যাবেন। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরাও অপরাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি আজ লজ্জিত।  
 
আলভী ও সানির গ্রেফতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ইঙ্গিত ব্যতিত এই কাজ করেনি। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হয়ে এই অপকর্ম করে এবং তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শাহবাগ থানার অফিসার। যার ফলে আলভী ও সানিকে আজ জেলের অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে। এটাতো হ‌ওয়ার কথা ছিল না। আলভি এবং সানি যেটা করেছে তা কোনো অন্যায় নয়। আজকের সমাবেশের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে আমি অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করছি।

সানির বড় ভাই মাহফুজ আনাস সাব্বির বলেন, আজকে আমার ছোট ভাই সামি শুধুমাত্র সেকেন্ড টাইমের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়েছে বলে পুলিশ তাকে আটক করে রেখেছে। আমার অসুস্থ বাবা-মার কিরকম অনুভূতি হচ্ছে আপনারা কি ভাবতে পারেন? যারা আমার ছোট ভাইকে এভাবে জেলে আটকে রেখেছে আজ যদি তাদের সন্তনকে এইরকম অন্যায় ভাবে আটক করা হতো তাহলে তাদের অনুভূতি কেমন হতো এই প্রশ্ন করে আমি আলভী আর আমার ছোট ভাইয়ের মুক্তি দাবি করছি।  

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, শিক্ষার অধিকার সার্বজনীন। সবার শিক্ষার অধিকার রয়েছে। কিন্তু পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতেই সরকার তাদের শিক্ষা নীতি প্রণয়ন করে। সুতরাং যে সরকার‌ই আসুক না কেন শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না। কারণ সব সরকার পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে চাই। তাই আজকের এই সংগ্রাম পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা করার আন্দোলন। সামাজতন্ত্র প্রতিষ্টা হলেই সব অন্যায় দূর হবে।  

এসময় বক্তারা সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অবিলম্বে আলভী ও সানিকে মুক্তির দাবি জানান। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বার ভর্তির সুযোগ দিয়ে শিক্ষার অধিকার ফেরত দেওয়ার দাবি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৩
এসকেবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।