ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় একমাস বাড়ল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২২
আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় একমাস বাড়ল

আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময়  এক মাস বাড়ল। নতুন সময় অনুযায়ী আয়কর দেওয়া যাবে ৩১ ডিসেম্বর  পর্যন্ত।

১ নভেম্বর শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর করসেবা মাস শেষ হওয়ার কথা ছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের(এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ ঘোষণা দেন।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ‘যথাযথ কর প্রদানের মাধ্যমে করদাতাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয়  রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ড. সামস উদ্দিন  আহমেদ।

এনবিআর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহম্মদ মুসলিম চৌধুরী।

বক্তব্য রাখেন, এনবিআরের সদস্য প্রদ্দুত কুমার সরকার, মাসুদ সাদিক ও বিসিএস কর একাডেমির মহাপরিচালক ফজলুল হক।  

শেষ সময়ে করদাতাদের উপচে পড়া ভিড় এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠন এই সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। এফবিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েও এ দাবি জানিয়েছিল।

আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান ‘আয়কর সেবা মাস’এক মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেন, এখন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনা জরিমানায় রিটার্ন দেওয়া যাবে। তবে যারা সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছিল তারা যেন শেষ দিনের অপেক্ষায় না থাকেন।

কর আদায় ব্যবস্থা সহজ করতে প্রক্রিয়া ও আইন সহজ করার তাগিদ দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।  এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, অটোমেশন রাজস্ব বোর্ডের অভিজ্ঞতা কম। বিদেশি ভেন্ডার নির্ভর অটোমেশনের হওয়ার কারণে ভেন্ডারের মেয়াদ শেষ অটোমেশন কার্যক্রম শেষ। পরে অটামেশনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে স্থানীয় কোম্পানির কাছ থেকে অংশীদারিত্বের অটোমেশন করা হবে। যাতে দীর্ঘ সময় ধরে সেবা নেওয়া যায়।  

রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহম্মদ মুসলিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আয়কর বৃদ্ধির জন্য আইটি টেকনোশিয়ান নির্র্ভর টিম গঠন করতে হবে। যাতে তথ্য প্রদানকারী তৃতীয় পক্ষের কাছে থেকে তথ্য নিয়ে সরেজমিনে না গিয়েও করদাতাকে খুঁজে পাওয়া যায় এবং কর আদায় করা যায়।

কর আদায়ের ক্ষেত্রে জিওলোজিক্যাল আদায় প্রক্রিয়ার পরিবর্তে তিনি ফাংসনাল হওয়ার তাগিদ দেন।

রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, সাম্য ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য প্রত্যক্ষ কর গুরুত্বপূর্ণ। পর্যায়ক্রমে আমাদের সেদিকেই যেতে হবে।  

রাজস্ব বোর্ডের গবেষণার তথ্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ১০০ টাকা আদায় করতে ২২ থেকে ৩১ পয়সা খরচ করতে হয়। অন্য দেশে এ হার আরও বেশি। বাংলাদেশে কর অনুপাত যেমন কম, খরচও কম। রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া দক্ষ করতে খরচও বৃদ্ধি করতে হবে।

বিসিএস কর একাডেমির মহাপরিচালক ফজলুর হক বলেন, ইপিজেড, তৈরি পোশাক শিল্প, বিশেষ বিশেষ রপ্তানি খাতসহ ২৩ থেকে ২৪টি খাতে কর অ্যাক্মামশন দেওয়া হয়। যা সতর্কতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হয়।  

মূল প্রবন্ধে ড. সামস উদ্দিন  আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার করে রাজস্ব বাড়িয়েছে। আমাদেরও সেদিকে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫, নভেম্বর ৩০, ২০২২
জেডএ/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।