ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে করপোরেট কর হারের সামঞ্জস্য চায় ডিসিসিআই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২
আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে করপোরেট কর হারের সামঞ্জস্য চায় ডিসিসিআই আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে করপোরেট কর হারের সামঞ্জস্য চায় ডিসিসিআই।

ঢাকা: এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করপোরেট কর হার আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) রিজওয়ান রাহমান।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের সম্মেলনে ডিসিসিআই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পূর্বে বাংলাদেশের করপোরেট কর হার আঞ্চলিক দেশসমূহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান করপোরেট কর ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৫ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ক্রমান্বয়ে হ্রাসের আহ্বান জানান।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এলডিসি উত্তরণের পর আমাদের রপ্তানিমুখী পণ্যের উপর শুল্ক হার বর্তমানের চেয়ে ৬-৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে, ফলে এখন থেকে আমাদের পণ্যের বহুমুখীকরণের সঙ্গে সঙ্গে বাজার সম্প্রসারণের উপর মনোযোগী হতে হবে। এছাড়া রপ্তানি বৃদ্ধিতে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের প্রতি আমাদের আরো মনোযোগী হওয়ার প্রস্তাব করেন।   

অনুষ্ঠানের শুরুতে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সমসাময়িক অর্থনীতি বিষয়ক ১০টি বিষয়বস্তুর উপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার, পাশাপাশি ২০২২ সালে ডিসিসিআই’র কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

তিনি জানান, এ বছর ঢাকা চেম্বার সিএমএসএমই, বেসরকারি বিনিয়োগ ও এফডিআই, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, সমুদ্র অর্থনীতি, দক্ষতা উন্নয়ন, ডিজিটাল এনগেইজমেন্ট, কর ব্যবস্থাপনা এবং এলডিসি উত্তরণ প্রভৃতি বিষয় সমূহের উপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করবে।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, কোভিড মহামারী কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশেষ করে সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক, তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি আরো সহজীকরণ করা প্রয়োজন।  

সমুদ্র অর্থনীতিকে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, আমাদের জিডিপিতে এ খাতে অবদান রয়েছে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং এ সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি কার্যকর রূপকল্প প্রণয়নের দাবি জানান ডিসিসিআই সভাপতি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, কোভিড মহামারি থাকা সত্ত্বেও ২০২১ সালে আমাদের বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং পণ্য রপ্তানি, রেমিট্যান্স এবং বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে বেশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আরমান হক এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
এসই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।