ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এমএসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে ডিজিটাল প্লাটফর্ম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এমএসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়নে ডিজিটাল প্লাটফর্ম

ঢাকা: মাইক্রো এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তি সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

এখাতের উদ্যোক্তারা আর্থিক চাহিদার বিষয়টি অর্থ প্রাপ্তির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ট্রেড রিসিভেবল্স আপলোড করতে পারবেন এবং আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা অর্থাৎ দেশে কার্যরত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এই ট্রেড রিসিভেবলের বিপরীতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

লোকাল ফ্যাক্টরিং বা রিসিভেবল ফাইন্যান্সিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই প্লাটফর্ম থেকে অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন এমএসএমই উদ্যোক্তারা।

পাইলট প্রকল্প হিসেবে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এবিষয়ে একটি নীতিমালা জারী করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালাটি দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছে পাঠানো হয়েছে।

পাইলট প্রকল্পে বিনিয়োগকারী ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান একক করপোরেট ক্রেতাকে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা অর্থায়ন করতে পারবে। যে কোনো সময় একক বিনিয়োগকারী ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে। সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা লেনদেন করা যাবে প্রতিটি লেনদেনে। একক এমএসএমই বিক্রেতার সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা।

ফলে, এমএসএমই প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের ট্রেড রিসিভেবলের বিপরীতে দ্রুত ও সহজে অর্থ পাবেন এবং তাদের ব্যবসা পরিচালনা করা সহজতর হবে। অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীরা ট্রেড রিসিভেবলের মেয়াদপূর্তিতে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান হতে ট্রেড রিসিভেবলের পূর্ণ মূল্য পেয়ে লাভবান হতে পারবেন।

প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিস্টেমের পাইলট প্রকল্পে কমপক্ষে দশটি ব্যাংক, পাঁচটি  কর্পোরেট সংস্থা এবং প্রতিটি কর্পোরেটের কমপক্ষে দুটি সরবরাহকারীর সঙ্গে পরিচালিত হবে৷ পাইলট পর্যায়ে কর্পোরেট এবং এমএসএমই সংখ্যার ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

এজন্য এমএসএমই খাতের পণ্য বিক্রেতা, কর্পোরেট ক্রেতা এবং অর্থ দানকারী ( ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করতে ও অংশগ্রহণ করবে।

অর্থ প্রাপ্তির জন্য এমএসএমই উদ্যোক্তাকে একটি প্রস্তাবনা জমা দিতে হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। প্ল্যাটফর্মের অ্যাডমিন অর্থ প্রাপ্তির যোগ্যতা যাচাই করে ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন। অনুমোদনের জন্য ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হবে। ক্রেতা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রস্তাবনা অনুমোদন করবেন।

প্রস্তাবনটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ প্রদানের নিলাম করবে। নিলাম সফল হলে নিদিষ্ট প্রস্তাবনাটি লক করা হবে। বিজয়ী দরদাতা এবং ইস্যুকারী এবং উভয়ের জন্য ঋণ খেলাপির তথ্য যাচাই করবে। অনুমোদনকারী অর্থপ্রদান এবং নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া শুরু করবেন। চালান সম্পর্কিত তথ্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হবে। মেয়াদপূর্তিতে, কর্পোরেট চালানের বিপরীতে তহবিল নিষ্পত্তি করবে। মনোনীত ব্যাংকের মাধ্যমে এবং সেই অনুযায়ী প্ল্যাটফর্মকে অবহিত করবে। প্রতিটি বকেয়া চালানের স্থিতি, নিষ্পত্তির সমস্ত তথ্য প্ল্যাটফর্ম রেকর্ড এবং আপডেট করবে।

পাইলট প্রকল্পটির মেয়াদ হবে ১ বছর। প্ল্যাটফর্মের মালিকদের পরিকাঠামো প্রস্তুত এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি সম্পূর্ণ করার জন্য পাইলট প্রকল্পের আগে ৪ মাস সময় দেওয়া হবে। পাইলট প্রকল্পের ব্যর্থতা বা স্থগিত হওয়ার ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে ৬মাস। সবধরনের বকেয়া নিষ্পত্তি করার জন্য ছয়মাসের সময়কালে সিস্টেমে কোনো নতুন চালান আপলোড বা অনুমোদিত হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২ 
এসই/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।