ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের কল্যাণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কৃষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের কল্যাণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কৃষকরা কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের কল্যাণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন কৃষকরা

খাগড়াছড়ি: প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল ও সবজি বেচাকেনা করতে এখন আর যেতে হচ্ছে না হাট-বাজারে। দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারের মূল্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নিজ এলাকা থেকে শাক-সবজিসহ মৌসুমী ফলমূল বিক্রি করছেন পাহাড়ের কৃষকরা।

ক্রেতা ও বিক্রেতার সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে দিয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্র। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যার সুফলও মিলেছে অনেকাংশে।

করোনাকালে কৃষকের মাঠে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি ও ফলমূলের বাজারজাতকরণ নিয়ে যখন কৃষকরা বিপাকে ঠিক তখন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দুর্গম এলাকার কৃষকরা পাচ্ছেন ন্যায্যমূল্য। আর তা পাচ্ছেন বাজারে না গিয়ে নিজের ইউনিয়নেই। কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের মাধ্যমে সেই সুবিধা করে দিয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ইউএনডিপি।

আদা, হলুদ, ছড়াকচু, কলা প্রভৃতি কৃষিপণ্য কেনাবেচা হয় এই কেন্দ্রে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ জেলায় এমন বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে চালু করেছে এই ব্যবস্থা। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং বাজারে আসা যাওয়ার ঝামেলা থেকে বেঁচে যাওয়ায় খুশি প্রান্তিক কৃষকরা। একইসঙ্গে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও।

কৃষক আবুল কালাম জানান, ক্ষেত থেকে শহরে গিয়ে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি ছিল বড় সমস্যা। পরিবহন খরচ ছিল অনেক। সময়মতো বিক্রি না হলে কম দামে বিক্রি করতে হতো। কিন্তু এখন নিজের এলাকায় সংগ্রহ কেন্দ্রে তা খুব সহজে বিক্রি করতে পারছি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিক মিয়া জানান, কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্র তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ। এখন খুব সহজে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীদের কাছে সরাসরি ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারছে। এ ক্ষেত্রে কারিগরিসহ বিভিন্নভাবে আমরা সহযোগিতা করছি।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ব্যবসায়ীরা এখান থেকে কৃষিপণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায়, এক একটি কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রে মাসে কয়েক কোটি টাকার কেনাবেচা হচ্ছে। কৃষিবান্ধব এই ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। তারা কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানান।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসাপ্রইপ্রু চৌধুরী অপু জানান, এমন উদ্যোগ নিতে পেরে আমরাও সন্তুষ্ট। পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা কৃষিপণ্য সংগ্রহ কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে এসব কেন্দ্র। আর ইউনিয়ন পর্যায় থেকে এ কার্যক্রম দুর্গম এলাকায় সম্প্রসারিত করার দাবি কৃষকদের।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
এডি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।