ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেসরকারি আরো ১৯ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২১
বেসরকারি আরো ১৯ প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি

ঢাকা: দেশে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি খাতের আরও ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে দুই লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৯ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিল সরকার।

 

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) চাল আমদানির অনুমতির চিঠি খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।  

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ভাঙা দানাবিশিষ্ট বাসমতি নয় এমন সিদ্ধ চাল, শর্তসাপেক্ষে আমদানি করা যাবে।

আমদানির অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- যশোরের মেসার্স মজুমদার অ্যান্ড সন্স ২০ হাজার টন, মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, মেসার্স সুশান্ত কৃষ্ণ রায় ১০ হাজার টন, মেসার্স গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ ৫ হাজার টন, সাতক্ষীরার মেসার্স মজুমদার এন্টারপ্রাইজ ২৫ হাজার টন, ময়মনসিংহের মেসার্স মজুমদার ট্রেডার্স ৫০ হাজার টন, গাইবান্ধার মেসার্স প্রধান ট্রেডার্স ৫ হাজার টন, পাবনার পূর্বাশা ট্রেডিং ৫ হাজার টন, দিনাজপুরের মেসার্স ইউনাইটেড রাইস মিল ৫ হাজার টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স হোসেন ট্রেডার্স ১০ হাজার টন, মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স ৫ হাজার টন, মেসার্স নবাব ফুড প্রোডাক্টস ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।  

এছাড়াও শেরপুরের মেসার্স এবি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ১০ হাজার টন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স নজরুল সুপার রাইস মিল ১০ হাজার টন, সাতক্ষীরার মেসার্স নিশাত ইন্টারন্যাশনাল ১৫ হাজার টন, চট্টগ্রামের আল আমিন এস্টাব্লিশমেন্ট ৫ হাজার টন, মেসার্স সামছুল আলম ১০ হাজার টন, মেসার্স এস অ্যান্ড কোং ১০ হাজার টন, বগুড়ার ফারিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৫ হাজার টন চাল আমদানি করতে পারবে।  

চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, এই বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে তাৎক্ষণিকভাবে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা পাঁচ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ চাল এবং ২০ দিনের মধ্যে পুরোটাই দেশে বাজারজাত করতে হবে।

এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান ১০ থেকে ৫০ হাজার টন বরাদ্দ পেয়েছে তাদের এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে অর্ধেক এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল স্থানীয়ভাবে বাজারজাত করতে হবে বলেও মন্ত্রণালয় থেকে শর্ত দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ১০ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরমধ্যে জয়পুরহাটের হেনা এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, দিনাজপুরের রেনু কনস্ট্রাকশন ১৫ হাজার টন, খুলনার কাজী সোবহান ট্রেডিং করপোরেশন ১০ হাজার টন, বগুড়ার আলাল অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস ১০ হাজার ও আলাল এন্টারপ্রাইজ পাঁচ হাজার টন, নওগাঁর দীপ্ত এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, আকাশ এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার টন, ঘোষ অটোমেটিক রাইস মিল ১৫ হাজার টন, মেসার্স নুরুল ইসলাম ১০ হাজার টন ও জগদীশ চন্দ্র রায় ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির শুল্ক কমিয়েছে সরকার। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। দেশের বাজারে চিকন চালের দাম এখন প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) ৩ হাজার ২শ টাকা থেকে ৩ হাজার ৪শ টাকার মধ্যে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। খুচরায় প্রতিকেজি সরু চালের দাম পড়ছে ৬৪ টাকা থেকে ৬৬ টাকার মধ্যে। সরু চালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাঝারি ও মোটা চালের দামও বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
জিসিজ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।