ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কর্মবিরতিতেও বাজারে এলো ইলিশ, দামও কম

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
কর্মবিরতিতেও বাজারে এলো ইলিশ, দামও কম বাজারে এসেছে পর্যাপ্ত ইলিশ, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কর্মবিরতির কারণে যান চলাচল স্থবির হয়ে গেলেও বাজারে ঠিকই এসেছে পর্যাপ্ত ইলিশ। এছাড়া আকারভেদে পাইকারি বাজারে দামও কিছুটা কম এখন। তবে খুচরা ও পাইকারি বাজারের ইলিশের দরের ব্যবধান দ্বিগুণ।

প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে ৭ অক্টোবর থেকে দীর্ঘ ২২ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার (২৯ অক্টোবর) বাজারে আসে ইলিশ। আর প্রথম দিন হওয়ায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছটি কিছুটা কম দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, সাদা মাছের সরবরাহ কম থাকায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্য সব মাছ। আর সবজি এখনও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মাংস ও তেলের দাম।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে কর্মবিরতির সময়ের বাজার দর সম্পর্কে এ তথ্য মিলেছে।

এ বাজারে পাইকারি হিসেবে এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি হালি প্রায় দুই হাজার টাকা। এছাড়া ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি এক হাজার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি এক হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

তবে খুচরা বাজারে ইলিশের বিক্রিতে দরের ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ। কারওয়ান বাজারের চিকেন মার্কেটের খুচরা মাছ বাজারে এক কেজি ওজনের প্রতি হালি ইলিশের দাম চাওয়া হয় তিন হাজার ৬০০ থেকে চার হাজার টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের হালি দুই হাজার ৬০০ টাকা এবং ৬০০ গ্রাম ওজনের হালি এক হাজার ৮০০ টাকা।

সেইসঙ্গে সাদা মাছের সরবরাহ কম থাকায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্য সব মাছ। খুচরা বাজারে ট্যাংরা মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৭০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কর্মবিরতির অজুহাত দিয়ে সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। প্রতি কেজি টমেটো ৯০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ৯০ টাকা, শিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০ থেজে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এছাড়া প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এ বাজারে প্রতি আঁটি কলমি শাক ১০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, পুই শাক ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজি দরে।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম। প্রতি কেজি মিনিকেট সিরাজ চাল ৬০ টাকা, মিনিকেট ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, মোটা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকা, বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতি কেজি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, রসুন ইন্ডিয়ান প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) ২৮০ টাকা ও দেশি ২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।  

অন্যদিকে, প্রতি পাল্লা পেঁয়াজ (দেশি) ১৭০ টাকা, ইন্ডিয়ান ১৪০ টাকা, ও আলু ১২০ টাকা পাল্লা বিক্রি করতে দেখা যায়।

সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা বাতিল, পুলিশি হয়রানি বন্ধ, চালকদের নামে বরাদ্দ করা পাঁচ হাজার সিএনজি-অটোরিকশা দ্রুত বাস্তবায়নসহ আট দফা দাবিতে রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। এ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সোমবার।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।