ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০১৯ সালের জুনে সেতু দিয়ে পদ্মা পারাপার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮
২০১৯ সালের জুনে সেতু দিয়ে পদ্মা পারাপার ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আগামী ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে সেতু দিয়ে মানুষ পদ্মা পারাপার হতে পারবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।

মুহিত বলেন, তৎকালীন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলি অপদার্থ একজন ব্যক্তি।

রবার্ট জোয়েলি তার মেয়াদ শেষ সময়ে এসে কনসালট্যান্ট নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে এমন অভিযোগ তুলে পদ্মাসেতু থেকে অর্থায়ন স্থগিত করেন।

এ বিষয়ে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আমার ওপর কালি মাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পরে বিশ্বব্যাংকের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় আসার পর পদ্মাসেতু অর্থায়নের স্থগিতাদেশ বাতিল করেছে। এখন তারা অর্থায়ন করতে চায়। কিন্তু তখন তারা অর্থায়নের শর্ত দিয়েছিল পদ্মাসেতুর যা কাজ হয়েছে তা বাতিল করে নতুন করে শুরু করতে হবে, তখন আমরা বিশ্বব্যাংকে বলেছি তোমরা এ প্রকল্প থেকে এখন সরে যেতে পার। তারপর আমরা নিজেদের অর্থায়ন পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করি। আশা করি আগামী ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মাসেতু দিয়ে মানুষ নদী পারাপার হতে পারবেন।

ভ্যাট আদায় সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক সময় ছিল কর দিও না, একবার ঝামেলায় পড়লে আর মুক্তি হবে না। কিন্তু এখন এ অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবুও আমাদের কর দেওয়ার হার অন্য দেশের তুলনায় অনেক নিম্ন। তাই কর দেওয়ার বিষয়ে আমদের আরও কাজ করতে হবে।

এ সময় ২০১৭ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে কর বাহাদুর নির্বাচিত হন সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। পরে তার হাতে অর্থমন্ত্রী ক্রেস্ট তুলে দেন।

এছাড়া বাণিজ্যমেলার অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতা ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা সনদ ও পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠানগুলো হল- ওয়ালটন, হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, র‍্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ লিমিটেড, আর এফ এল প্লাস্টিক লিমিটেড,  বাটারফ্লাই প্লাস্টিক লিমিটেড, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড, আকতার ম্যাট্রাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং লিমিটেড।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও সভাপতি শফিউল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮
এমএসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।