ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্লাস্টিক রাঙাতে দেশে উৎপাদিত হচ্ছে কালার মাস্টারব্যাচ 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
প্লাস্টিক রাঙাতে দেশে উৎপাদিত হচ্ছে কালার মাস্টারব্যাচ  মেলায় কালার মাস্টারব্যাচ প্রদর্শন করা হচ্ছে-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: প্লাস্টিকের রঙিন পণ্যে ব্যবহার করা হয় কালার মাস্টারব্যাচ। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে প্লাস্টিকের পণ্যের রঙ অক্ষুণ্ন, উজ্জ্বল ও দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় ইউভি প্রোটেক্টর প্রযুক্তি। নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে আন্তর্জাতিক মানের কাঁচামাল দিয়ে বাংলাদেশে কালার মাস্টারব্যাচ উৎপাদন করছে কালারপ্লাস মাস্টারব্যাচ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী ১৩তম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক, পেইন্টিং ও প্যাকেজিং মেলা।  

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মেলায় কালারপ্লাস মাস্টারব্যাচ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের স্টলে গিয়ে জানা গেলো, দেশেই তারা প্লাস্টিক পণ্যে ব্যবহৃত রঙ উৎপাদন করছে।

দেশিয় চাহিদার কথা মাথায় রেখে আন্তর্জাতিক মানের কাঁচামাল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা সব ধরনের মাস্টারব্যাচ উৎপাদন করছে।

এছাড়া ব্যবহার করছে ভালো মানের পিগমেন্ট, ভার্জিন রেজিন ও অন্য কাঁচামাল। আর এসব উন্নত মানের কাঁচামাল দিয়েই ৬৩ ধরনের মাস্টারব্যাচ উৎপাদন করছে কোম্পানিটি।

সর্বনিম্ন ২শ’ টাকা কেজি থেকে শুরু হয় কালারপ্লাস মাস্টারব্যাচের বিক্রয় মূল্য। কর্পোরেট মূল্যে এইসব মাস্টারব্যাচ বিক্রি করা হয়।  

স্টল কর্তৃপক্ষ জানায়, কোম্পানির বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী তারা বাংলাদেশের মাস্টারব্যাচের চাহিদার ৩৫ শতাংশ যোগান দিতে সক্ষম। তবে যেহেতু কালারপ্লাস চায়না একটি কোম্পানির সঙ্গে জয়েন্ট ভ্যাঞ্চার, সেক্ষেত্রে তারা প্রয়োজনে দেশে মাস্টারব্যাচের চাহিদার শতভাগ যোগান দিতে সক্ষম।

কালারপ্লাস মাস্টারব্যাচ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ডিরেক্টর দানুজিৎ কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শতভাগ আন্তর্জাতিক মানের উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে মাস্টারব্যাচ উৎপাদন করছি। এছাড়া পানীয় ও খাবার রাখার প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহৃত মাস্টারব্যাচে ফুড গ্রেড ব্যবহার করছি। যেহেতু বাংলাদেশে ফুড গ্রেড পরিমাপের ব্যবস্থা এখনও নেই তাই আমরা এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো বিদেশ থেকে মাস্টারব্যাচ আমদানি করতে ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয় করছে। কিন্তু দেশিয় কোম্পানিগুলো থেকে মাস্টারব্যাচ কিনলে দেশের টাকা বিদেশে চলে যাওয়া থেকে বেঁচে যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএসি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।