ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জরুরি প্রয়োজনে বন্দরে হেলিকপ্টার ব্যবহারের চিন্তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
জরুরি প্রয়োজনে বন্দরে হেলিকপ্টার ব্যবহারের চিন্তা মন্ত্রণালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান/বাংলানিউজ

ঢাকা: নিরাপত্তাসহ জরুরি প্রয়োজনে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান বন্দরের আদলে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে হেলিকপ্টার ব্যবহারের চিন্তা করছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্ট পরিদর্শন শেষে দেশে ফিরে একথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে জাহাজে পাইলট পাঠায়, কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসে।

নিরাপত্তার প্রয়োজন হলেও হেলিকপ্টারে নিয়ে আসে। আমরাও ভাবছি, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য বন্দরে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে সে কাজটি করতে পারবো।  

চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে বিশ্বের উন্নত বন্দরসমূহের সম্পর্ক স্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে প্রতিনিধিদল ১৫ জানুয়ারি সফরে গিয়ে নৌ-মন্ত্রীর নেতৃত্বে দলটি ২৪ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসে।

দুই দেশের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী জানান, আমাদের তিনটি লাইট হাউজ রয়েছে। আমরা আরো চারটি লাইট হাউজ করবো। বন্দর দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ তা নিয়ে মন্ত্রী তিন বছরের তথ্য তুলে ধরেন।

আগামী দুই বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের ক্যাপাসিটি আরো বাড়বে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আগামী দুই বছর একটু কষ্ট করতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্টের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল করবে বলে জানান মন্ত্রী। একইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরকে কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিবে। এ লক্ষ্যে তিনটি দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ সমঝোতা স্মারকপত্র শিগগিরই স্বাক্ষর করবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দরগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ হলে সময় এবং খরচ অনেক কমে যাবে। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হবে।  

প্রতিনিধিদল দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহন মন্ত্রী ও মরক্কোর পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গেও স্বাক্ষাত করেন।

প্রতিনিধিদলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ছিলেন।  

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নৌপরিবহন মন্ত্রী, স্থায়ী কমিটির সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, নুরুল ইসলাম সুজন, হাবিবুর রহমান ও বেগম মমতাজ বেগম।

কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়াম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার অনারীর কনসাল সোলাইমান আলম শেঠ, নৌপরিবহন মন্ত্রীর একান্ত সচিব এম এম তারিকুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবদুস সাত্তার, সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব কল্লোল কুমার চক্রবর্তী, মন্ত্রণায়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার জাহাঙ্গীর আলম খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক এবং চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মোশাররফ হেসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।