ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এক বছর পেছাচ্ছে নতুন দুই মেট্রোরেলের প্রস্তুতিমূলক কাজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এক বছর পেছাচ্ছে নতুন দুই মেট্রোরেলের প্রস্তুতিমূলক কাজ মেট্রোরেল; প্রতীকী ছবি

ঢাকা: নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার সম্ভাবনায় এক বছর মেয়াদ বাড়ছে নতুন দু’টি মেট্রোরেল প্রকল্পের টেকসই মূল্যায়ন প্রাথমিক প্রস্তুতিমূলক সম্ভাব্যতা যাচাই (প্রিপারেটরি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি) কাজের। ফলে পেছাচ্ছে ‘মাস্‌ র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১ ও লাইন-৫’ শীর্ষক মূল প্রকল্প দু’টির সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিস্তারিত কার্যসূচি প্রণয়নের কাজও।

যানজটমুক্ত রাজধানী গড়তে উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের আওতায় এ অংশটিতে ২০১৯ সালের মধ্যেই ট্রেন চলাচল উন্মুক্ত করতে চায় সরকার।

এমআরটি-৬ এর মতোই দ্বিতীয় ধাপের এমআরটি-১ ও এমআরটি-৫ রুট দু’টিতেও মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)।

২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এমআরটি-১ এয়ারপোর্ট-খিলক্ষেত-বারিধারা-বাড্ডা-রামপুরা-মৌচাক হয়ে কমলাপুরে মিলিত হবে। খিলক্ষেত-পূর্বাচল কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত লুপ লাইনও থাকবে এ রুটে। অন্যদিকে ১৩ কিলোমিটারের এমআরটি-৫ বিস্তৃত হবে গাবতলী-টেকনিক্যাল-মিরপুর-১, ১০ ও ১৪-বনানী-গুলশান-২ হয়ে ভাটারা পর্যন্ত।

সাধারণত যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের আগে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হয়। তবে ঝুঁকিমুক্ত মেট্রোরেল নির্মাণে এর আগে প্রিপারেটরি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিও করে নেওয়া হচ্ছে। ‘ঢাকা মেট্রো প্রজেক্ট প্রিপারেটরি টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট (ডিএমপিপিটিএ)’ প্রকল্পের আওতায় এ কাজ চলমান।

ডিটিসিএ সূত্র জানায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় প্রকল্পটিতে পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

মোট প্রকল্প ব্যয় ১২ কোটি ৪৭ লাখ টাকার মধ্যে বৈদেশিক পরামর্শক খাতে ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ের পুরোটাই অনুদান হিসেবে দেবে এডিবি।

প্রকল্পটিতে কাজ করছেন একজন পরিচালক, একজন হিসাবরক্ষক, একজন অফিস সহকারী, একজন গাড়িচালক ও দু’জন অফিস সহায়ক। পরামর্শকদের জন্য কেনা হচ্ছে একটি পাজেরো জিপ।

ডিটিসিএ সূত্র আরও জানায়, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রকল্পটির মৌখিক অনুমোদন দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর গত ০১ জানুয়ারি থেকে প্রাথমিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়, যা আগামী বছরের ৩০ জুন মেয়াদে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিলো।

তবে অনুদান ও ঋণদাতা এডিবি এক বছর পরে জাইকাকে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদও এক বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে।

এ দুই মেট্রোরেলের মূল প্রকল্প গ্রহণসহ ব্যয় ও মেয়াদ নির্ধারিত হবে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি দেখেই। এমনকি স্ট্যাডির পরে রুটও পরিবর্তিত হতে পারে।

ডিটিসিএ’র উপ-সচিব (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং) আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এমআরটি-৬ চলমান আছে। এরপরেই শুরু হবে এমআরটি-০১ ও এমআরটি-৫ লাইনের কাজ। আরও সঠিকভাবে মূল প্রকল্প নেওয়ার লক্ষ্যেই  প্রস্তুতিমূলক প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি’।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।