ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১২ শতাংশ ব্যাংকে ক্যাটাগরি ১ আইসিটি অবকাঠামো নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
১২ শতাংশ ব্যাংকে ক্যাটাগরি ১ আইসিটি অবকাঠামো নেই

দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর ১২ শতাংশেই এক নম্বর ক্যাটাগরির আইসিটি অবকাঠামো নেই। এ ক্যাটাগরির অবকাঠামো বাস্তবায়নের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের আইসিটি বিষয়ে অগ্রিম প্রশিক্ষণের অভাব।

ঢাকা: দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোর ১২ শতাংশেই এক নম্বর ক্যাটাগরির আইসিটি অবকাঠামো নেই। এ ক্যাটাগরির অবকাঠামো বাস্তবায়নের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের আইসিটি বিষয়ে অগ্রিম প্রশিক্ষণের অভাব।


 
রোববার (০৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটি‌উট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত দু’দিনের ‘অ্যানুয়াল ব্যাংকিং কনফারেন্স ২০১৬’ এ রিভিউ অব দ্য ব্যাংকিং অ্যাকটিভিটিস ২০১৫ শীর্ষক প্রবন্ধের বরাত দিয়ে এ কথা বলেন ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী।
 
বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, এজন্য দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য, সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগ, জনবল স্বল্পতা, আইসিটিখাতের বাজেট, ব্যবসার দুর্বলতার পুনঃতদন্ত ও অল্পসময়ে সরঞ্জাম ক্রয়ের অভাব রয়েছে।
 
প্রবন্ধে বলা হয়েছে, আইসিটি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে ব্যাংকগুলোর আয়োজন করা কর্মশালায় উপস্থিত অধিকাংশ কর্মকতারা প্রশিক্ষণদাতাদের দেওয়া জ্ঞানে সন্তুষ্ট নন এবং প্লাটফর্ম খুব ভালোমানের নয়।  
 
আইটিখাতের মোট বাজেটের মাত্র ৩ শতাংশ ব্যয় হয় প্রশিক্ষণ বাবদ। আইটিখাতে বাজেটের অপ্রতুলতায় ব্যাংকগুলোর ৫৮ শতাংশ ব্যাংকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) সন্তুষ্ট নয়।
 
দেশের সব ব্যাংকগুলোর ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে ঢাকার মধ্যে। ৫৮ শতাংশ ডিস্ট্রিবিউটেড কন্ট্রোল সেন্টার (ডিসিএস) ও ১৮ শতাংশ ডিভিশন অব রেডিয়েশন সেফটি অ্যান্ড সেফগার্ডস (ডিআরএস) বহুতল ভবনে করা স্থাপন করা হলেও ভূমিকম্প ও আগুনের ঝুঁকি রয়েছে।
 
ব্যাংকগুলোর উচিত দ্রুত ভূমিকম্প প্রতিরোধ অঞ্চলে ডিআরএস স্থাপন করা। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার অবকাঠামো সরবরাহ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
 
ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের নিরাপত্তা ইস্যুতে ব্যাংকগুলোতে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও জনবল প্রয়োজন। প্রত্যেক ব্যাংকের শক্তিশালী আইসিটি সিকিউরিটি বিভাগ থাকা উচিত।

এজন্য ‘ইথিক্যাল হ্যাকার’ সঠিক আইটি নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ স্থাপন এবং পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তবে আশ্চর্যজনক হলো ১৫ শতাংশ ব্যাংকের আইটি টিমে কোনো নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ নেই।
 
ব্যাংকগুলোর আইটি অবকাঠামো ‘ঠিক আছে’ যাচাই করার জন্য প্রতি বছর যোগ্য আইটি অডিটর দিয়ে অডিট করানো উচিত। অডিটরদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ না থাকায় সঠিকভাবে আইটি বিভাগ অডিট হয় না। এটি স্পষ্ট যে দুর্বল অডিটের কারণে কিছু ব্যাংকের ঝুঁকি সৃষ্টি হলেও অডিটররা তা ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
 
ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে কোনো সমঝোতা করা ঠিক হবে না। তবে এটা বলা যায় যে, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ব্যাংকগুলোর আইটি অডিট সামান্য হলেও বেড়েছে। এজন্য অডিটরদের আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
 
বিআইবিএম মিলনায়তনে শুরু হওয়া কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএম’র অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।
 
ম্যাক্রো ফাইন্যান্সিয়াল এনভারনমেন্ট নিয়ে উপস্থাপন করা গবেষণাপত্রের ওপর প্যানেল আলোচনা করেন বিআইবিএম’র সুপার নিউমারি প্রফেসর মো. ইয়াসিন আলী, প্রফেসর ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানর্জি ও ব্যাংক এশিয়ার এমডি আরফান আলী।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।