ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চীনা প্রকল্পে সীমিত দরপত্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
চীনা প্রকল্পে সীমিত দরপত্র

চীনা অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণে ‘সীমিত দরপত্র প্রক্রিয়া’ অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কখন থেকে সীমিত দরপত্র প্রক্রিয়া কার্যকর হবে সেই তারিখ নির্ধারণ করবে চীন। তারিখটি নির্ধারিত হলে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তা জানানো হবে।

ঢাকা: চীনা অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণে ‘সীমিত দরপত্র প্রক্রিয়া’ অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কখন থেকে সীমিত দরপত্র প্রক্রিয়া কার্যকর হবে সেই তারিখ নির্ধারণ করবে চীন।

তারিখটি নির্ধারিত হলে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে তা জানানো হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

মুহিত বলেন, বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে পাইপলাইনে এখনও প্রক্রিয়াধীন ৭টি প্রকল্প রয়েছে। এগুলো আগের নিয়মেই অর্থাৎ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করা হবে। আগামীতে নতুন যেসব প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ করা হবে সেগুলো সীমিত দরপত্র প্রক্রিয়ায় হবে।

অর্থনেতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গত ১০ আগস্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চীনা অর্থায়নে নির্মিতব্য প্রকল্পের ক্ষেত্রে ‘সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি’অনুসরণ করে চীনা সরকার কর্ত‍ৃক মনোনীত ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে প্রায় এক ডজন প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত ১০ আগস্ট ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্পের ক্ষেত্রে অন্তবর্র্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয় অর্থনেতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেবে। এরপর প্রকল্প প্রস্তাবটি অর্থায়নের প্রক্রিয়াকরণের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে প্রেরণ করবে। সীমিত দরপত্রের প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি চূড়ান্ত হওয়ার পর এ ব্যবস্থা রহিত হতে পারে।

এছাড়াও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চীনা সরকারের অর্থায়নে তিনটি প্রকল্প সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রকল্প তিনটি হচ্ছে; চীনা সরকারের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) আওতাধীন পাটকলগুলো ‘বিএমআরই’ করণে (ব্যালেন্সিং-মর্ডানাইজেশন-রিহ্যাবিলিটেশন-এক্সপানশন) সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান চায়না টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিয়াল করপোরেশন ফর ফরেন ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশনকে (সিটেক্সিক) নিয়োগ; চীনা সরকারের অর্থায়নে জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের জয়দেবপুর-জামালপুর সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনের সমান্তরাল ডুয়েলগেজ লাইন নির্মাণ এবং চায়না এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ডিজিটাল যোগাযোগ স্থাপন (এস্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিটি) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জিটুজির মাধ্যমে চীনা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পণ্য, ভৌত কাজ ও সেবা ক্রয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।