ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত, চটেছেন মুহিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত, চটেছেন মুহিত

রিজার্ভের চুরি যাওয়া বাকি অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ফেরত দিচ্ছে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় চটেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্টে যাবো কিনা আমি নিশ্চিত নই। তবে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে হয়তো কোনো মামলাও করতে পারি। 

ঢাকা: রিজার্ভের চুরি যাওয়া বাকি অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ফেরত দিচ্ছে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় চটেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।  
 
তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্টে যাবো কিনা আমি নিশ্চিত নই।

তবে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে হয়তো কোনো মামলাও করতে পারি।  

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাংকেই রাখা বাংলাদেশের রিজার্ভের অর্থ থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার আরসিবিসির মাধ্যমে সরানো হয়। এরমধ্যে ফিলিপাইন থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার ফেরতও এসেছে।  
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কার মতো অর্থ ছাড়ের ব্যাপারে তাদের (ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের) বিবেচনা করা উচিত ছিল। তারা প্রথমে অথোরাইজেশন চেয়েছে, সন্দেহ করেছে, আবার টাকাও দিয়েও দিয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত বলে আমি মনে করি। তবে কোন সময় কখন করা হবে আমি নিশ্চিত নই।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন অর্থমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, রিজাল ব্যাংকের (আরসিবিসি) অ্যাটিচ্যুড (মনোভাব) মোটেও ভালো নয়। তারা যে প্রমিজ (চুরি যাওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত) করেছে সেটা না মানলে অনৈতিক হবে। তারা বিস্ময়করভাবে মোড় নিয়েছে (অর্থ ফেরত দেবে না জানিয়ে)। প্রথমে তারা মেনে নিয়েছে অথোরাইজড অর্ডার হয়নি। এখন তারা বলেছে আমরা দিতে বাধ্য নই। দেবো না।  
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, এরমধ্যে কী পরিবর্তন হলো আমি বুঝতে পারছি না। যে আর্গুমেন্টে বাদ দেওয়া হয়েছে সেটা কোনো মতেই জাস্টিফাইড না। কারণ এটা তো আগেই বিবেচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল মেসেজের ফলে হয়েছিল। ফেডারেল ব্যাংক এটাতে প্রথমে আপত্তি করেছিল। পরে আবার দিয়ে দিল কোন গ্রিন সিগন্যাল না পেয়ে। আমার জন্য বিরাট একটি ডিসাপোয়েন্টমেন্ট। তাদের এই স্টেটমেন্টে মূল্যবোধের একটা সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
 
মুহিত বলেন, এখন রিজাল ব্যাংকের গর্ভনর ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান এবং তাদের সরকার কী ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের দেখা দরকার। প্রয়োজনে আমিও কথা বলবো। এরইমধ্যে আমাদের আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে গর্ভনরসহ একটি প্রতিনিধি দল সেখানে গেছে।  

রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন আপনি আটকে রেখেছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংসদীয় কমিটিকে বলেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সংসদীয় কমিটিকে সত্য কথাই বলেছে, ঠিক উত্তরই দিয়েছে, আমি সেটা প্রকাশ করছি না।  
 
তিনি বলেন, যখন আমি মনে করবো ‘দিস ইজ গুড টাইম টু পাবলিশ’ তখন প্রকাশ করবো। সংসদীয় কমিটিকেও তখন দেওয়া হবে। তার আগে দেবো না। সংসদীয় কমিটি পরামর্শ দিতে পারে। পরামর্শ নেওয়া ন‍া নেওয়া নির্বাহী কমিটির বিষয়।  
 
প্রকাশ না করার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রকাশ করিনি এজন্যই যে, রিজার্ভ চুরির তদন্তের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, সেখানে মামলার ব্যাপারও আছে। রিপোর্টে হয়তো এর বাইরেও আরও কিছু বিষয় আছে। সেজন্য এখন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। এটা পাবলিশ করবো। আমার সময় যত রিপোর্ট হয়েছে সবগুলো পাবলিশ করা হয়েছে। কোন সময় পাবলিশ করা হবে সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।  
 
ফিলিপাইনে আমাদের রাষ্ট্রদূতও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। তিনিও কিছু তথ্য ইমেইলে পাঠিয়েছেন। সেখান থেকেও আজকে (বুধবার) রাতে কিছু শুনতে পারবো- বলেন অর্থমন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৬/আপডেট ২০৪৯ ঘণ্টা
এসই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।