ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোল্ট্রি মুরগিতে পাইকারি-খুচরায় বিস্তর ফারাক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
পোল্ট্রি মুরগিতে পাইকারি-খুচরায় বিস্তর ফারাক ছবি: সুমন শেখ, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজধানীর কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসে পোল্ট্রি মুরগি। আর রাতের মধ্যেই পাইকারি দামে বিক্রি হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। পাইকারি ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

ঢাকা: রাজধানীর কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন জেলা থেকে আসে পোল্ট্রি মুরগি। আর রাতের মধ্যেই পাইকারি দামে বিক্রি হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়।

পাইকারি ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে কাপ্তান বাজারে মুরগির পাইকারি বাজার সরেজমিনে গেলে এসব তথ্য উঠে আসে।    

কাপ্তান বাজার থেকে প্রতিদিন রাতে প্রায় ১২০-১৫০টি মিনি ট্রাক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেয় মুরগি। আর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে খুচরা ব্যবসায়ীরা ১০৫ টাকা দরে কেনা মুরগি বিক্রি করেন ১৩৫/১৪০ টাকায়। কেজি প্রতি লাভ করেন ৩০-৩৫ টাকা।

রাত ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই পাইকারি বাজার চলে ভোর রাত পর্যন্ত, দেশের প্রায় সব জেলা থেকেই মুরগি আসে রাজধানীর বড় পাইকারি বাজার কাপ্তান বাজারে। তবে তুলনামূলক ভাবে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ থেকে মুরগি একটু বেশি আসে, বলছিলেন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের খুচরা পোল্ট্রি মুরগি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। তিনিও কাপ্তান বাজারে এসেছেন মুরগি কিনতে।
 
এদিকে জামালপুর থেকে মুরগি বিক্রি করতে আসা, জামিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গড়ে প্রতি গাড়িতে ২ লাখ টাকার মুরগি থাকে, এক গাড়ি মুরগি বিক্রি হলে মধ্যসত্ব ভোগীদের কমিশন নামক চাঁদা দিতে হয় ৮ হাজার টাকা, ট্রাক পজিশন, লেবার খরচ, সব মিলিয়ে আমরা খুব লোকসানে থাকি, যদি সরাসরি বিক্রি করতে পারতাম আমাদের জন্য খুব  ভালো হতো।    
 
এক মিনি ট্রাক মুরগি বিক্রি করে ৮ হাজার টাকা কমিশন দিতে হচ্ছে, যা বিক্রেতা ইচ্ছা করলে নিজেই করতে পারতেন। এই কমিশনের নামে চাঁদা আমাদের জন্য জুলুম হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ বগুড়ার মহাস্থানগড় থেকে আসা রেজাউল ইসলাম (৪৫)।


তিনি বলেন, আমি দুই মিনি ট্রাক মুরগি নিয়ে এসেছিলাম, ৪ লাখ টাকা বিক্রি করেছি, তার মধ্যে কমিশনই দিয়েছি ১৬ হাজার টাকা, যেটা দিয়ে আমাদের কোনো উপকার হয় না। এটাই আমার জন্য ক্ষতি।

মুরগির এই পাইকারি বাজারের সকল বিষয় দেখাশোনা করেন, রেশমা আক্তার (৪০), তিনি জানান, গড়ে প্রতি রাতে কোটি টাকার উপর লেনদেন হয় এই বাজারে, এটা মুরগির সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার।

বিক্রেতাদের কেন এতো কমিশন দিতে হয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘তারা যতো টাকা বলেছে আসলে ততো টাকা না, কিছু টাকা নেওয়া হয়, মুরগি বিক্রি করে দেওয়া হয় তার জন্য, তাছাড়া কোনো চাঁদা নেওয়া হয়না’।

মাঝরাতে এই বাজারকে সার্বিক নিরাপত্তা দিতে, প্রতিদিন ওয়ারী থানার কমিউনিটি পুলিশের পাঁচ সদস্য কাজ করেন। মাসুম (৩২) নামে এক কমিউনিটি পুলিশ বাংলানিউজকে বলেন, ছোট খাটো ঝামেলা থেকে বাজারের লোকদের নিরাপত্তা দেওয়া আর সকাল সকাল বাজার ভেঙে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করি।  
    
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
এসটি/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।