ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইসিসিবি’তে শেষ দিনে জমজমাট বাপা ফুডপ্রো

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬
আইসিসিবি’তে শেষ দিনে জমজমাট বাপা ফুডপ্রো ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দর্শনার্থী, দেশি ও বিদেশি ক্রেতাদের পদচারণায় শেষদিনে জমে উঠেছে চতুর্থ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬। শনিবার (২৬ নভেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

আইসিসিবি থেকে: দর্শনার্থী, দেশি ও বিদেশি ক্রেতাদের পদচারণায় শেষদিনে জমে উঠেছে চতুর্থ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬। শনিবার (২৬ নভেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গিয়ে জাঁকজমকপূর্ণ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং এক্সট্রিম এক্সিবিশন অ্যান্ড ইভেন্ট সল্যুশন লিমিটেড আয়োজন করেছে ৪র্থ বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৬।

মেলায় স্টল দিয়েছে হিফস অ্যাগ্রো ফুড ইন্ড্রাট্রিজ। স্টলটিতে কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে স্টলটিতে সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের দৃষ্টি ম্যাঙ্গো আইস পপ ও ম্যাঙ্গো আইস ললির দিকে। যে পণ্যটি সুনামের সঙ্গে দেশে ও বহির্বিশ্বে রফতানি হচ্ছে।

এক প্যাক ম্যাঙ্গো আইস পপ ক্রয় করলেন তানিয়া রহমান। তিনি বলেন, এটি ছোট্ট শিশুদের জনপ্রিয় একটি খাবার। এ খাবারে আমার জানা মতে কোনো ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান নেই। এজন্য ছেলে ফাহিমের জন্য এক পাক ম্যাঙ্গো আইস কিনেছি।

পণ্যটি সম্পর্কে জানতে চাইলে হিফস অ্যাগ্রো ফুড ইন্ড্রাট্রিজ এর সেলস কো-অর্ডিনেটর মো. নাঈম আকন বাংলানিউজকে বলেন, এই পণ্যটিসহ কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বর্হিবিশ্বের ১৪টি দেশে রফতানি করা হচ্ছে। আমাদের পণ্যের গুণগত মান অন্যান্য যে কোনো কোম্পানির চেয়ে অনেক ভালো। এছাড়া মার্কেটেও বর্তমানে আমাদের অনেক সুনাম রয়েছে।

কিষোয়ান গ্রুপ অব কোম্পানিজ এর স্টলে ক্রেতাদের নজর বাহারি ধরনের আচারে। যে আচার তারা বিদেশে রফতানি করছে। স্টলটিতে আসা দর্শনার্থী রাবেয়া ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কিষোয়ানের আচার অনেক ভালো। আর মেলাতে বিভিন্ন ধরনের আচার পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া একই ছাদের নিচে কয়েক ধরনের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে বলেই মেলাতে আসা।

এ বিষয়ে কিষোয়ান গ্রুপের এ জি এম তসলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় মূলত তাদের উদ্দেশ্যে কাউন্টার সেল নয়। এখানে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে। ১৫টি দেশের বায়ারদের সঙ্গে কমিউনিকেশন হচ্ছে। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্যে।

তবে মেলায় ক্রেতাদের অনেক সাড়া পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।

সজীব গ্রুপের স্টলে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। এর পণ্য সম্পর্কে ক্রেতা নাসিম বলেন, নুডলস তার পছন্দের একটি খাবার। প্রথমে কোকাকোলার নুডলস ভালো লাগতো। কিন্তু সজীব নুডলস খাওয়ার পর থেকে তার কাছে এটাই এখন সব থেকে ভালো বলে মনে হয়। তাই মেলায় এসে সজীব গ্রুপের নুডলস ক্রয় করেছেন।

মেলা বিষয়ে বাপা’র প্রেসিডেন্ট এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, বাপার মূল লক্ষ্য ফুড প্রসেসিং সেক্টরের ক্রমবর্ধমান বিকাশ নিশ্চিত করা। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না যায়, সে জন্য সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া মেলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পারস্পরিক বাণিজ্যের প্রসার আরও বাড়বে।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের ফুড প্রসেসিং সেক্টরকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে এই ধরনের মেলা সাহায্য করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, তাইওয়ান, চীন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, নেদারল্যান্ড, স্পেন, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৫টি দেশের শতাধিক প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য এবং সেবা প্রদর্শন করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৬

এসজে/টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।