ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের অবৈধ ব্যয় ৮২ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের অবৈধ ব্যয় ৮২ কোটি টাকা

ব্যবস্থাপনার নামে ৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে বেসরকারি খাতের বিমা কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির এ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বিশেষ অডিট ফার্ম (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঢাকা: ব্যবস্থাপনার নামে ৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা অবৈধ ব্যয় দেখিয়েছে বেসরকারি খাতের বিমা কোম্পানি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির এ অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বিশেষ অডিট ফার্ম (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আইডিআরএ’র তথ্য রয়েছে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ মিলে নির্ধারিত ব্যয়ের চেয়ে ওই পরিমাণ টাকা বেশি খরচ দেখিয়েছে। এ কারণে আইডিআরএ’র সবশেষ বোর্ডসভায় অডিট ফার্ম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, অডিট ফার্ম কোম্পানির বিনিয়োগ, ঋণ, অগ্রিম, স্থায়ী সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদ, গাড়ি, জমি ও বিল্ডিং, নগদ টাকা, ট্যাক্স ও ভ্যাট, চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা কী পরিমাণ সম্মানি ও অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন তার পর্যালোচনাসহ আয়, ব্যয় ও সম্পদের বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখবে।

জানা গেছে, কোম্পানিটি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে ২১০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অথচ নিয়ম অনুসারে প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা ব্যয় করতে পারবে ১২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সে হিসাবে গত সাত বছরের ৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেশি অবৈধ ব্যয় করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। যা বিমা আইন-২০১০ এর ৬৩ ধারা ও বিমা বিধিমালা-১৯৫৮ এর লঙ্ঘন।

প্রগতি ইন্স্যুরেন্স ২০০৯ সালে ৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, ২০১০ সালে ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ২০১১ সালে ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা, ২০১২ সালে ১১ কোটি ৮ লাখ টাকা, ২০১৩ সালে ১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং ২০১৫ সালে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি ব্যয় দেখিয়েছে।

আইডিআরএ’র সদস্য জুবের আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, জীবন বিমার পাশাপাশি সাধারণ বিমা খাতের প্রগতি ইন্স্যুরেন্সসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিয়ম বহির্ভূত খরচ পাওয়া গেছে।

আইনে নির্ধারিত অর্থের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয়ের কারণে কোম্পানির বিমা দাবি পরিশোধের সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি শেয়ার হোল্ডাররা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হন। তাই কোম্পানির নিয়ম বহির্ভূত খরচের কারণ জানতে কোম্পানিতে নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজের কাছে আইন লঙ্ঘন করে ৮২ কোটি টাকা খরচের কথা স্বীকার করে বলেন, পুরনো আইন অনুসারে গত সাত বছরে এ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে। তবে এটা অবৈধ নয় বলে দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৬
এমএফআই/জেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।