ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এমডিজি অর্জনে প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
এমডিজি অর্জনে প্রতিশ্রুত অর্থ সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বিদেশ থেকে প্রতিশ্রুত অর্থ পায়নি বাংলাদেশ। যে কারণে এমডিজি’র  ৩৩টি উপ-সূচকের মধ্যে মাত্র ১৩টি পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

ঢাকা: সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বিদেশ থেকে প্রতিশ্রুত অর্থ পায়নি বাংলাদেশ। যে কারণে এমডিজি’র  ৩৩টি উপ-সূচকের মধ্যে মাত্র ১৩টি পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

এমনকি ২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ বিদেশি প্রতিশ্রুত অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ।

এমডিজি অর্জনে উন্নত দেশগুলো আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) ০ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিন্তু উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি।
 
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি ২০০১-১৫)’ এর চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশকালে এসব তথ্য জানানো হয়। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
 
প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে, সাধারণ প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জনে প্রতি বছর বিদেশি অর্থ প্রয়োজন ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উচ্চ প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ শতাংশ অর্জনে প্রতি বছর বিদেশি অর্থ প্রয়োজন ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে পাওয়া গেছে মাত্র ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যে কারণে এমডিজি’র অনেক লক্ষ্য সেভাবে অর্জিত হয়নি।
 
তারপরও বিদেশ থেকে পাওয়া অর্থ এবং দেশী সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে এমডিজি’র অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যটি অর্জিত হয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২৯ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। বাংলাদেশ এ সময়ে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এর পাশাপাশি শিক্ষা, লিঙ্গবৈষম্য, শিশুমৃত্যু, মাতৃস্বাস্থ্য, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে রাখা, টেকসই পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল বলে মনে করছে জিইডি।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এক সময় আমাদের সুন্দরবনের আয়তন ছিল ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার। এখন কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বাংলাদেশে এবং ৪০ শতাংশ ভারতে। উন্নত দেশের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’।

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ব্রাজিল ও জার্মানি। এসব দেশের কারণে আমাদের ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে। অথচ সেভাবে আমরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছি না’।

 
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘সব ক্ষেত্রে আমাদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আমরা দেখছি, শেয়ার বাজার থেকে খুব বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে না, এটি শুধু ব্যাংক নির্ভর। বিনিয়োগে যে সব বাঁধা আছে তা তাড়াতে হবে’।
 
তিনি আরও বলেন, ‘দেশি সম্পদ আহরণে আরও দক্ষতা বাড়াতে হবে। দেশি সম্পদ আহরণ বলতে অনেকে বুঝি রাজস্ব আদায়কে। কিন্তু এটি আমাদের ভুল ধারণা’।
 
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

**ট্রাম্পের পদক্ষেপে বাণিজ্যে আশার আলো দেখছেন তোফায়েল

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।