ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পরিচালন মুনাফা বেড়েছে অধিকাংশ ব্যাংকের

শাহেদ ইরশাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৬
পরিচালন মুনাফা বেড়েছে অধিকাংশ ব্যাংকের

ঢাকা: ২০১৫ সালের ব্যাংক হলিডে ছিল ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি। এ দিন দেশের ব্যাংকগুলো লেনদেন বন্ধ রেখে সারা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব করেছে।

হিসাব শেষে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, সামগ্রিক বিনিয়োগ মন্দা হলেও ২০১৫ সালে দেশে কার্যরত অধিকাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে।

মুদ্রাবাজারে টাকার প্রবাহ প্রায় সারা বছরই বেশি ছিল। ফলে কলমানির সুদের হারে আয় হয়নি তেমন। তাছাড়া ঋণ প্রবৃদ্ধিও প্রত্যাশার তুলনায় ছিলো কম। তবে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকায় ব্যাংকগুলো আগের বছরের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে।

ধারাবাহিক ভাবে মুনাফা বেড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব রূপালী ব্যাংকের। ২০১৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২০৫ কোটি। ২০১৪ সালে ২৫২ থেকে ২০১৫ সালে হয়েছে ২৭০ কোটি টাকা। জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থপনা পরিচালক এম ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে রূপালী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগও করা হচ্ছে গ্রাহক যাচাই করে। এ কারণে ব্যাংকের মুনাফাও ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে চলেছে।

পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা নয়। নিট মুনাফাই ব্যাংকের প্রকৃত আয়। পরিচালনগত মুনাফা থেকে ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) এবং কর (৪২ দশমিক ৫ শতাংশ) বাদ দিয়ে নিট মুনাফার পরিমাণ হয়।

এর ওপরও ব্যাংক বিশেষে সাধারণ রিজার্ভ খাতে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়। ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীকে অপেক্ষা করতে হবে নিট বা প্রকৃত মুনাফার হিসাব পাওয়া পর্যন্ত। আবার অনেক ক্ষেত্রেই নিট মুনাফা হলেও তার সম্পূর্ণ অর্থ লভ্যাংশ আকারে বিতরণ করা হবে না।
 
যে কারণে শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ পাওয়ার হিসাব কষতে অপেক্ষা করতে হবে ব্যাংকের এজিএমের আগের পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত। উপরন্তু, সংবাদপত্রের মুনাফার তথ্য প্রাপ্তিতে নানা বাধা রয়েছে। ফলে এমনও হতে পারে যে কোনো ব্যাংক সূত্র একটি কাছাকাছি অঙ্কের মুনাফার তথ্য দিয়েছে। এটাকে প্রাথমিক তথ্য বিবেচনা করা যায়।

বিশ্বব্যাপী পরিচালন মুনাফা প্রকাশ একটি স্বীকৃত বিষয়। যদিও বাংলাদেশে এই পরিচালন মুনাফা প্রকাশে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। এই বিধিনিষেধ এসেছে বিএসইসির অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। তবে শেয়ারবাজারে যাঁরা প্রতিনিয়ত কেনাবেচা করেন এবং যাঁদের কোনো ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে, তাঁরা ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমেই এ তথ্য পান।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান বলেন, বছরটা শুরু হয়েছিলো কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে। কেউ বুঝতে পারছিলো না অর্থনীতি কোন দিকে যাচ্ছে। তবে বছরের পুরো সময় জুড়ে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিলো। ব্যাংকের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যতেও প্রবৃদ্ধি ছিলো। এ কারণে ব্যাংকগুলোর মুনাফায় ভাটা পড়েনি।



বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।