ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অঞ্জনসে জামদানি বিপণন পণ্যের প্রদর্শনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৬
অঞ্জনসে জামদানি বিপণন পণ্যের প্রদর্শনী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তাঁতীদের নিজস্ব ডিজাইনের শাড়ি, জামদানি দিয়ে তৈরি জুয়েলারি বক্স, ফটোফ্রেম, পার্স, ব্যাগ, কুশন কভার, শার্ট, পাঞ্জাবি ইত্যাদি নিয়ে ফ্যাশন হাউস অঞ্জনসে শুরু হয়েছে ‘জামদানি বিপণন প্রদর্শনী’।

শনিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বনানীতে অঞ্জনসের বিক্রয় কেন্দ্রে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান।

অঞ্জনসের বনানী, যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলী রোড ও চট্টগ্রাম জিইসি শাখায় এ প্রদর্শনী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

অঞ্জনস প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাশেম খান বলেন, বাংলাদেশে বয়নশিল্পের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। একেক অঞ্চলে একেকটি বয়ন ধারা ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এসব নিয়ে এখনই গবেষণা প্রয়োজন। এরজন্য একটি জাদুঘর বা প্রতিষ্ঠান গড়া যায়। এর উদ্যোগ নিতে পারে অঞ্জনস।

তিনি বলেন, অঞ্জনস প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষকে জাগিয়ে দিচ্ছে, সচেতন করছে।

অনুষ্ঠানে অঞ্জনসের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহমেদ বলেন, এরকম প্রতিষ্ঠান বা জাদুঘর করতে তাদের অনেক দিনের আগ্রহ রয়েছে। যারা বয়নশিল্প নিয়ে গবেষণা এবং চর্চা করেন, অঞ্জনসের এ প্রদর্শনী তাদের সহযোগিতায় লাগবে।

অনুষ্ঠান শেষে তিনি জানান, জামিদানির বিপণন বাড়ানো এবং জামদানির মোটিফগুলো বিভিন্ন পণ্যের মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে তৃতীয়বারের মত এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

শাহীন আহমেদ আরও বলেন, এখানে সত্যিকার অর্থে জামদানি শাড়ি ও শাড়ির ঐতিহ্যগত রূপ তুলে ধরা হবে।

এখন জামদানির ওপর অনেকে এমব্রয়ডারির কাজ করছে, এটা আসলে জামদানিকে অপমান করা হয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

জামদানির স্বকীয়তা সৌন্দর্যে ও বৈশিষ্ট্যে ভরপুর বলেও জানান বুনন শিল্পের এই ব্যবসায়ী।

তিনি বলেন, জামদানি মোটিফ এখন বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহার করেও চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সমাজকর্মী ও গবেষক হামিদা হেসেন বলেন, টেক্সটাইল জাদুঘর বিশ্বের অনেক দেশে আছে। এখন বাংলাদেশেও এরকম কিছু করতে হবে। আমাদের জামদানিসহ যে বুনন ঐতিহ্য আছে তা তুলে ধরতে হবে।

ডিজাইনার ও গবেষক চন্দ্র শেখর সাহা বলেন, জামদানি মোটিফের সংরক্ষণে আন্তরিক পৃষ্টপোষকতা অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এজন্য ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সচেতনতা দরকার।

অনুষ্ঠানে অঞ্জনসের প্রধান ডিজাইনার লায়লা খায়ের কনকসহ বুনন শিল্পে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও জামদানি পণ্যের ক্রেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬
এসএ/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।