ঢাকা: দেশে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন এক হাজার ৯৯৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার (বিপিএম৬) বা ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২২ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চলতি বছরের শুরুতে মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রার তহবিল (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি বা বিপিএম-৬ ছিল ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। তিন সপ্তাহে স্বল্পমেয়াদি কিছু দায়-দেনা শোধ করার পর নিট রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামে।
এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। বর্তমান ব্যয় যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
সাধারণত তিন মানুষের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করার মত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ লক্ষ্য রাখা হয়। সে হিসাবে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন মাসের বেশি আমদানি বিল মেটানো সম্ভব।
বর্তমানে রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থাতে আছে। সরকার বিভিন্ন ধরনের নীতি অবলম্বন করলে নিট ২০ বিলিয়নের আশপাশে আটকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভও ১৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে রাখা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে এক ধরনের স্বস্তিও ফিরেছে রিজার্ভে। গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রিজার্ভের অস্থিরতা তৈরি হয়। সর্বশেষ ১৪ বিলিয়ন ডলারে নামে রিজার্ভ। আর এর ফলে তৈরি অস্থিরতা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
জেডএ/এসএএইচ