ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ওএমএসর ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য পাচ্ছে ৩ মহানগরের ১৩ হাজার মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
ওএমএসর ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য পাচ্ছে ৩ মহানগরের ১৩ হাজার মানুষ

ঢাকা: দেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর মোট ৪৫টি পয়েন্টে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দিনে প্রায় ১২-১৩ হাজার নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি’র আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি করছে।  

বিক্রি করা কৃষিপণ্যের উৎপাদনস্থল, হিমাগার পর্যায় থেকে সরাসরি আনা হচ্ছে ফলে উৎপাদক পর্যায়েও একদিকে যেমন ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে সরকারি ভর্তুকি দেওয়ার ফলে ভোক্তারাও সাশ্রয়ী মূল্যে কৃষিপণ্য কিনতে পারছে।

 

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

কৃষি মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাঝে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষদের স্বস্তি প্রদানের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ‘কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি-২০২৪’ উদ্যোগ নেয়।

কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি'র আওতায় ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পটল, পেঁপে, করলা, কচু, শসা, লাউসহ কয়েকটি কৃষিপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা ১ ডজন ডিম ১১০ টাকা, ১ কেজি আলু ৩০ টাকা, ১ কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, ১ কেজি কাঁচা পেপে ১৫ টাকা, ১ কেজি পটল ৩০ টাকা, ১ কেজি করলা ৪০ টাকা, ১ কেজি শসা ১৫ টাকা, ১ কেজি কচু ৩০ টাকা, ১ পিস লাউ ২০ টাকা দরে কিনতে পারছেন।

সপ্তাহের সাত দিনই এই বিক্রয় কার্যক্রম চালু আছে। এছাড়াও সব গ্রাহক যেন পণ্য পায় তা নিশ্চিত করার জন্য প্যাকেজ আকারে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে এবং একইসঙ্গে সব পণ্যের সর্বোচ্চ ক্রয়সীমাও উল্লেখ করা হচ্ছে।  

এদিকে প্রাথমিকভাবে ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরীর ২০টি পয়েন্টে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করা হয়। পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের ভিত্তিতে ১৮ অক্টোবর থেকে ঢাকা মহানগরীতে আরও ১০টি পয়েন্ট বাড়ানো হয়। বর্তমানে খাদ্য ভবন, রামপুরা, দক্ষিণ খান, উত্তরখান, নতুন বাজার, উত্তর মুগদা, বাসাবো, বছিলা, রূপনগর, মিরপুর, কালসি, কামরাঙ্গীরচর, গাবতলী, হাজারীবাগ, রাজারবাগ, মালিবাগ, কাঁঠালবাগান, রায়েরবাজার, পলাশীমোড়, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, জিগাতলা, মোহাম্মদপুর, আদাবর, তালতলা, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও বিএডিসিসহ (৪টি) মোট ৩০টি পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে। এর পাশাপাশি ২২ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর স্বল্পআয়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ৫টি পয়েন্টে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হয়।  

সরকারি এ কর্মসূচি চালুর পর নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে এটি ব্যাপক সাড়া ফেলায় ২৭ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে আরও পাঁচটি পয়েন্ট বাড়ানো হয়। চট্টগ্রাম মহানগরীতে বর্তমানে চকবাজার, দেওয়ানহাট, ষোলশহর, ফিরিঙ্গিবাজার, ফিরোজশাহ্, সিটি গেইট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট ও ফ্রি-পোর্টসহ মোট ১০টি পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি চলছে।

এছাড়াও খুলনা মহানগরীর নিম্নআয়ের মানুষদের স্বস্তি প্রদানে ২৮ অক্টোবর থেকে পাঁচটি পয়েন্টে চালু হয়েছে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচি। মহানগরীর শিববাড়ি মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খালিশপুর ও দৌলতপুরে কৃষিপণ্য ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।