ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাঁদপুরে বানের পানি ও জলাবদ্ধতায় পোল্ট্রি খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
চাঁদপুরে বানের পানি ও জলাবদ্ধতায় পোল্ট্রি খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত

চাঁদপুর: চাঁদপুরে বানের পানিতে শাহরাস্তি উপজেলা ও জলাবদ্ধতায় সদর এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলায় অধিকাংশ পোল্ট্রি খামারগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে কতজন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার সঠিক তথ্য বলতে পারছে না উপজেলাগুলোর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা।

গত কয়েকদিন জেলার শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, সদর ও হাইমচর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, বসতবাড়ির সঙ্গে খড়ের গাদা, গোয়ালঘর ও পোল্ট্রি ফার্মগুলো পানির নিচে তলিয়ে আছে।

শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর, সুচিপাড়া দক্ষিণ, চিতোষী ইউনিয়নের বহু গ্রাম কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী জেলার বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে এসব এলাকার প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিলেও গবাদি পশু নিয়ে অনেকে আছেন বিপাকে। এছাড়া পোল্ট্রি খামারগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল শামীম বলেন, বানের পানিতে এখন পর্যন্ত উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে ১৫টি পোল্ট্রি খামার পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যক্তি কেন্দ্রিক পালন করা ২০০-২৫০টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। পশুগুলোর খাবারের সংকট রয়েছে। আমরা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, গবাদি পশুর বড় ধরনের কোনো খামার এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে এই এলাকায় প্রায় ১০টি খামার আছে। আমাদের মাঠকর্মীরা কাজ করছে। কিছুদিন পরে খামারিদের তালিকা ও ক্ষতি নির্ণয় করা হবে।

চাঁদপুর সদরের বাগাদি, বালিয়া ও চান্দ্রা ইউনিয়নে টানা বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যে কারণে অধিকাংশ খড়ের গাদা, পোল্ট্রি ফার্ম পানির নিচে।  

চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা এলাকার খামারি রহমান জানান, পানি আসার কারণে ছোট সাইজের মুরগি বিক্রি করে দিয়েছি। পানি কমলে বোঝা যাবে খামারে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।

একই ইউনিয়নের গাইনগো দীঘি এলাকার খামারি মনির হোসেন। তিনি বলেন, খামার তলিয়ে যাওয়ার কারণে আপাতত মুরগি লালন পালন বন্ধ। আমাদের এলাকার আরও কয়েকজনের খামারের একই অবস্থা। গত এক সপ্তাহে পানি কমছে না।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মকবুল হোসেন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রি ফার্মের তালিকা তৈরি করিনি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা কাজ করছে।

চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, জেলার শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ ও সদর উপজেলায় বানের পানি ও অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। জেলায় খামারিদের তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি। উপজেলা থেকে তথ্য এলে তখন পরিসংখ্যান বলা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।