ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘গত ১২ বছরে প্লেসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
‘গত ১২ বছরে প্লেসমেন্টকে বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে’

ঢাকা: প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়।

এ জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু গত ১০-১২ বছরে প্লেসমেন্ট ইস্যুকে খুব বাজেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

 শনিবার (২৯ জুন) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ফল উৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর পল্টনের আল রাজি কমপ্লেক্সে সিএমজেএফ অডিটোরিয়ামে উৎসবটি হয়।

সিএমজেএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায় ফল উৎসবে বক্তব্য রাখেন ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী, সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান, পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারি, ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম দিলাল, সিএমজেএফের সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সিনিয়র সদস্য রাজু আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে শাকিল রিজভী বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারের আকার এখনো ছোট। আমরা মনে প্রাণে চাই বাজার পার্শ্ববর্তী দেশসহ অন্যান্য দেশের মতো বড় হোক। এ জন্য সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এরমধ্যে বড় একটি প্রতিবন্ধকতা ক্যাশ টাকা সংগ্রহের সুযোগ না থাকা। এতো প্রতিবন্ধকতা থাকলে কে এখানে আসতে চাইবে? বিনিয়োগকারী লোকসানও করবে আবার নগদ টাকাও তুলতে পারবে না তা হয় না।

সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য প্লেসমেন্ট খুবই ভালো একটি উদ্যোগ ছিল বলে আমি মনে করি। তবে এটা কে কীভাবে ব্যবহার করছে তার ওপর এর ভালোমন্দ নির্ভর করে। তবে এর মন্দ ব্যবহারটা বেশি হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, প্লেসমেন্টটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। এর মাধ্যমে কিছু মানুষকে ক্যাপিটাল মার্কেটে সম্পৃক্ত করা হয়। এ জায়গাটাকে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে সাংবাদিকরা লেখনির মাধ্যমে এ অনিয়মগুলো তুলে ধরলে কিছুটা উত্তরণ হতে পারে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

ডিএসইর সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, পুঁজিবাজারের নানা অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় রিপোর্ট করেছেন, করছেন। এরমাধ্যমে অন্যায় বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়, তবে কমবে বলে আমরা আশা করি।

তিনি বলেন, ৯-১০ বছর আগে পুঁজিবাজারে এতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান না থাকলেও তখন ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা লেনদেন হতো। এতো বছর পরও লেনদেন বাড়েনি, বরং সময়ের পরিক্রমায় লেনদেন ৩০০-৪০০ কোটিতে নেমেছে। গত ১০-১২ বছরে আমাদের অর্জন শূন্য বললেও ভুল হবে। আমরা আসলে ঋণাত্মক অবস্থায় আছি।

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের ভূমিকা অস্বীকার করে কোনো অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলেও মনে করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।