ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রস্তুতি শেষের দিকে, মেরাদিয়া হাটে আসছে কোরবানির পশু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
প্রস্তুতি শেষের দিকে, মেরাদিয়া হাটে আসছে কোরবানির পশু মেরাদিয়া পশুর হাটে আসছে কোরবানির পশু

ঢাকা: ঈদুল আজহার বাকি এখনো পাঁচ দিন। প্রতিবারের মতো এবারো পশুর হাট বসছে মেরাদিয়ায়।

প্রস্তুতি পুরোপুরি শেষ না হলেও রামপুরা খালসংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী এই হাটে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। আর এবার আফতাবনগর হাট বন্ধ থাকায় মেরাদিয়া পশুর হাটে বিক্রির চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর মেরাদিয়া পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারীরা ট্রাকে করে কোরবানির পশু নিয়ে আসছেন। এরপর নির্দিষ্ট স্থানে বেঁধে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে রাখছেন। ক্লান্ত শরীর নিয়ে অনেক ব্যাপারী রাস্তার ধারে কিংবা পশুর জন্য আনা খাবারের বস্তার ওপরই ঘুমাচ্ছেন।  

ক্রেতাদের অনেকে হাটে এসে কোরবানির পশু দেখছেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু ও তরুণদেরও হাটে আসতে দেখা গেছে। কেউ মনোযোগ দিয়ে দেখছেন, কেউ আবার নাম, দাম জিজ্ঞেস করছেন। কেউ আবার জানতে চাইছেন, কোথা থেকে আনা হয়েছে। এখনো তেমনভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি মেরাদিয়া পশুর হাটে।  

দক্ষিণ বনশ্রীর প্রধান সড়কে মেরাদিয়া বাজার থেকে মসজিদ মার্কেট পর্যন্ত কোরবানির পশুর এ হাট বসতে দেখা যায়। দুই পাশের গলিগুলোতেও পশু নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত এ হাটে প্রতি বছরই প্রচুর পরিমাণে কোরবানির পশু ওঠে।  

বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির পশু নিয়ে এই হাটে আসা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম দিকে আকারে মাঝারি বড় আকারের কোরবানির পশু আনা হচ্ছে। কারণ দীর্ঘ পথ ট্রাকে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক পশু অসুস্থ হয়ে যায়, তখন ক্রেতারা ভাল দাম দেন না। তাই চার পাঁচ দিন আগে থেকে বড় গরু হাটে নিয়ে এসে দেখভাল করা হয়, যাতে সুস্থ রাখা যায়, ভালো দাম পাওয়া যায়।  

মেরুল বাড্ডার বাসিন্দা আসিফ খান বন্ধুদের সঙ্গে মেরাদিয়া হাটে এসেছেন গরু দেখতে। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনেক বেপারী মাঝারি আকারের মধ্যে বড় গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন। এ আকারের গরুর দাম চাচ্ছেন দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত। অন্যান্য বছর এ আকারের গরুর দাম প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা কম ছিল। আর ছোট গরুর মধ্যে ৫০ হাজারের নিচে কোনো কোরবানির গরু চোখে পড়েনি। বেশির ভাগ ছোট গরুর দাম ৬০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।  

সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ থেকে ট্রাকে করে কয়েকজন বেপারী ২১টি গরু নিয়ে আসেন মেরাদিয়া হাটে। তাদের মধ্যে সাইদুল করিম নামের একজন তিন বছর বয়সী একটি মাঝারি আকারের দেশি জাতের গরু নিয়ে এসেছেন। গরুটি তিনি লালন পালন করেছেন। এবারই প্রথম তিনি ঢাকায় কোরবানির গরু নিয়ে এসেছেন।  

কথা হলে সাইদুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, দাম আড়াই লাখ টাকা চাচ্ছি। তিন বছর পেলে-পুষে এত বড় করেছি। খাবারসহ সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকার মতো। খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরু পালনে এত বেশি খরচ হয়েছে। কদিন আগের ঘূর্ণিঝড়ে বাড়ির কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই বাড়ি মেরামতের জন্য গরুটি বিক্রি করতে এসেছি।

এদিকে মেরাদিয়া হাট কর্তৃপক্ষ জানায়, কোরবানির পশু রাখার জন্য এ হাটের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরুর ব্যবসায়ীরা তাদের পশু নিয়ে এ হাটে আসছেন। হাটে গরু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য পানি ও ভ্রাম্যমাণ অস্থায়ী টয়লেটেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
ইএসএস/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।