ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগৈলঝাড়ায় খাল শুকিয়ে সেচ সংকট, চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
আগৈলঝাড়ায় খাল শুকিয়ে সেচ সংকট, চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় সেচ সংকটের কারণে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো চাষ করতে না পারায় আগৈলঝাড়ার পাঁচটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক কৃষকের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক ও ব্লক ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার আভ্যন্তরীণ গৈলা থেকে গুপ্তের হাট খাল, উপজেলা সদর থেকে বাশাইল খাল, ২নং ব্রিজ থেকে বাকাল হাট খাল, বাশাইল থেকে বাহাদুরপুর খাল, কাঠিরা থেকে দুশুমী খাল, কাঠিরা থেকে ঐচারমাঠ খাল, বারপাইকা থেকে বলিয়ালী খাল, দক্ষিণ শিহিপাশা থেকে সেরাল খাল, গৈলা থেকে ভদ্রপাড়া খালসহ গ্রামীণ শাখা খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় চলতি বছর বোরো চাষ ব্যাহত হচ্ছে।

বাকাল গ্রামের চাষি বাচ্চু ফকির জানান, চাষিরা পানির জন্য ব্লক ম্যানেজারের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। যে সমস্ত চাষি আগে পানি পেয়ে জমিতে ইরি-বোরো বীজ রোপণ করেছিলেন তাদের রোপিত বীজ পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে। খালে পানি না থাকায় ব্লক ম্যানেজারদের বলেও পানি সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান করা যাচ্ছে না।

বাশাইল গ্রামের চাষি দুলাল মৃধা বলেন, বছরের পর বছর খালগুলোর কোনো সংস্কার না হওয়ায় নাব্য হারিয়েছে অধিকাংশ খাল। অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের জন্য চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকতে হতো চাষিদের।

ইরি-বোরো চাষে পানি সমস্যার সমাধানের দাবি তুলে চাষি হাবুল সরদার ও আবু সাইদ সরদার জানান, জরুরি ভিত্তিতে শুকিয়ে যাওয়া খালগুলো পুনঃ খনন করা না হলে আগামীতে উপজেলায় অনাবাদি জমি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চাষিরা ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হবেন, এতে খাদ্য উৎপাদন ঘাটতির কবলে পড়বে এলাকার জনসাধারণ।  

আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পীযূষ রায় বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৫১৮ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৯ হাজার ৩২৭ হেক্টর জমিতে ইতোমধ্যেই চাষাবাদ করা হয়েছে। খালগুলো খননের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।