ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে লাল ফিতার বাধা দূর করতে হবে: টিপু মুনশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে লাল ফিতার বাধা দূর করতে হবে: টিপু মুনশি

ঢাকা: ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে লাল ফিতার বাধা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় আমাদের রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

এ সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন-পূর্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

মন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম-নীতির বেড়াজালে উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন আটকে যায়। এ বাধা দূর করতে হবে, আইন ও নীতিমালা বদলাতে হবে। আইন ও নীতিমালা করা হয়েছে কাজের জন্য।  

ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতির পথে অহেতুক কালক্ষেপণ বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি কাজের জন্য মন্ত্রণালয়ে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়, অথচ এগুলো দেখার জন্য সরকার লোক নিয়োগ করে রেখেছে। মন খুলে এগুলো দেখলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, একটি স্বাধীন সমৃদ্ধ জাতির জন্য মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখেছেন, যুদ্ধে আপনজনকে হারিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু  জীবনের বড় একটি সময় জেলে কাটিয়েছেন। আমরা যদি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে সহায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হতে পারি, তাহলে আমাদের স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।  

বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রিতে মার্কিন একটি কোম্পানিকে লাভবান না হতে দেওয়ায় ২০০১ সালে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। সেই শক্তি আবার উঠে-পড়ে লেগেছে, যোগ করেন মন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে সহায়তা করা। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমাদের মাধ্যমে যেন ব্যবসা-বাণিজ্যের কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। সিনিয়র কর্মকর্তাদের কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
 
কৃষক, শ্রমিক ও উদ্যোক্তারা সম্পদ সৃষ্টি করছেন। সম্পদ বাড়ানো ও সুসংহত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়কের ভূমিকা পালন করতে হবে। কেউ সহায়তা নিতে এসে যেন ফেরত না যান, বলেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সমস্যা হয়। এসব সমস্যা দূর করতে উদ্যোগ নিতে হবে।  

রপ্তানি উন্নয়ন ভবন হবে ১৫তলা বিশিষ্ট। এতে তিনটি বেজমেন্ট থাকবে। বাকি ১২তলায় অফিস স্পেস। ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে  ২৮৪ কোটি টাকা। ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে।

ইপিবির চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালকসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী রপ্তানি উন্নয়ন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৩
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।