ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-সৌদি এফটিএ স্বাক্ষরের উপযুক্ত সময় এখনই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
বাংলাদেশ-সৌদি এফটিএ স্বাক্ষরের উপযুক্ত সময় এখনই

ঢাকা: বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের উপযুক্ত সময় এখনই। উভয় দেশের এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

সোমবার (৬ নভেম্বর) সৌদি আরবে জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বৈঠক করে এফবিসিসিআইর ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল। এ সময় উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের স্বার্থে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার কথা উত্থাপন করে এফবিসিসিআই।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সারা বিশ্বেই ব্যবসা-বাণিজ্যের ধরন পরিবর্তন হচ্ছে। সে সঙ্গে সামনে আসছে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ। ২০২৬ সাল নাগাদ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশও বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এমন অবস্থায়, সমন্বিত সাপ্লাই চেইনের সুফলকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে-বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবকে এখনই এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তি রপ্তানির অন্যতম একটি গন্তব্য সৌদি আরব উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সৌদি আরব বর্তমানে হাই-টেক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এবং শিল্প বহুমুখীকরণের জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ মুহূর্তে তাদের বিপুল দক্ষ কর্মী বাহিনীর দরকার হবে। এদিকে বাংলাদেশ এখন ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ সুবিধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ দেশে বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম, অভিজ্ঞ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ তরুণ জনশক্তি রয়েছে। সৌদি সরকারকে আহ্বান জানাই, বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের দক্ষ তরুণ কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও প্রসারিত করুন।

বৈঠকে সৌদি আরবের ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে প্রস্তাবিত সৌদি অ্যারাবিয়া বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের আহ্বান জানান মাহবুবুল আলম। একই সঙ্গে দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলেও সৌদি বিনিয়োগকারীদের শিল্প স্থাপনে আমন্ত্রণ জানান তিনি।

বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, অবকাঠামো, গাড়ির যন্ত্রাংশ, কেমিক্যাল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রবোটিকসসহ বেশকিছু খাতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয় বৈঠকে।

এ সময় বন্দর ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয় জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। পাশাপাশি সৌদি আরবে বাংলাদেশি পণ্যকে পরিচিত করতে ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ এক্সপো আয়োজনেও সহায়তা দেবে বলেন জানান তারা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. খায়রুল হুদা চপল, মো. রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি, মো. মুনির হোসেন, পরিচালক মো. হাবিব উল্লাহ ডন,  হাসিনা নেওয়াজ, খন্দকার রুহুল আমিন, মূনাল মাহবুব, মো. আলী হোসেন শিশির, মো. এনায়েত উল্লাহ, বি এম সোহেব, সহিদুল হক মোল্লা, ফখরুস সালেহীন নাহিয়ান, সালমা হোসেন এশ, মো. আমীর হোসাইন নুরানী, মো. ফায়জুর রহমান ভূঁইয়া ও সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।