ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শ্রমিকদের কর্মবিরতি, অচল রাজশাহী রেশম কারখানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
শ্রমিকদের কর্মবিরতি, অচল রাজশাহী রেশম কারখানা

রাজশাহী: টানা এক সপ্তাহ থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন- রাজশাহীর রেশম কারখানার শ্রমিকরা। ছয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হলে তারা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন।

 

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী রেশম কারখানা শো-রুমের প্রধান ফটকের সামনে মাটিতে বসে তারা কর্মবিরতি পালন করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতি পালন করলেও রেশম বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে আজ পর্যন্ত যোগাযোগ করেননি। শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের বিষয়েও তারা কথা বলেননি।

কারখানা শ্রমিক শামসুল আলম জানান, সব শ্রমিক মিলে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১১০ গজ কাপড় তৈরি করেন। তারা এই সাতদিন কাজ করলে আরও ৭৭০ গজ কাপড় তৈরি হতো। কিন্তু টানা কর্মবিরতির কারণে এই পরিমাণ রেশম কাপড় তৈরি হয়নি। এই কাপড় ৭৫০ টাকা গজ হিসেবে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে রাজশাহীর শো-রুমে বিক্রি হয়।  

কারখানার শ্রমিক মো. লালন বলেন, এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা। সেই দিন থেকে রেশম কারখানা শো-রুমের প্রধান ফটকের সামনে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এই কদিন কাজ বন্ধ আছে। কর্মসূচি চলাকালে প্রথম দিন খাতায় স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে আর হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়নি। আমাদের হাজিরা তুলছে না কর্তৃপক্ষ। তারপরও কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছ। যতদিন বকেয়া বেতন না পরিশোধ করবে ততদিন কর্মবিরতি চলবে। একইভাবে রেশম বোর্ড, বোর্ডের গবেষণা ও কারখানার শ্রমিকদের বেতন বন্ধ আছে। তাই তারাও আলাদাভাবে আন্দোলন  কর্মসূচি পালন করেছেন বলে জানান লালন।

বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে জানানো হয়-রাজশাহী রেশম কারখানায় অর্ধশত শ্রমিক দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করেন। তারা দৈনিক ৩০০ টাকা বেতন পেলেও গত ছয় মাস ধরে তাদের সেই বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্থ সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এদিকে, সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক (ডিডি) কাজী মাসুদ রেজা বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। শিগগিরই বেতন দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কমকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩

এসএস/এসআইএস  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।