ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় জোর ব্যবসায়ীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় জোর ব্যবসায়ীদের

ঢাকা: বিদেশি প্রতিষ্ঠান অনেক সময় ব্র্যান্ড চুরির ভয়ে এদেশে ব্যবসা করতে নিরুৎসাহিত হয়। ফলে বাণিজ্যিক ও সৃজনশীল মৌলিক শিল্পসত্ত্বার যথাযথ মূল্যায়নে দেশে মেধাস্বত্ব সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা, শিল্পী, নীতিনির্ধারকসহ সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি রাইটস বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ কথা বলেন ব্যবসায়ী নেতারা।

সভায় আলোচকরা বলেন, মেধাস্বত্ব সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতি গড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আমাদের সবার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সরকারকে অবশ্যই মেধাস্বত্ব সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে কাজ করতে হবে।

এম এ মোমেন জানান, এফবিসিসিআইর ৫০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশে বিজনেস সামিটে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। এ সময় বিনিয়োগকারীদের কাছে মেধাস্বত্ব সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের যাত্রায় ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যকে কমপ্লায়েন্স করতে মেধস্বত্ব সুরক্ষা আইনকে আরও যুগোপযোগী করতে হবে। এ সময় বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের ব্র্যান্ডিং বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি।

সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় কাজ করা প্রয়োজন বলে জানান এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি আমিন হেলালী। তিনি বলেন, বিশ্বমানের পণ্য এখন বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে। সুতরাং পণ্য তৈরির সঙ্গে সঙ্গে এর অধিকারও সংরক্ষণ করা জরুরি।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ইন্টেলেকচুয়্যাল প্রোপার্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইপিএবি) মহাসচিব আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, মেধাস্বত্ত্ব সুরক্ষার অভাবে স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিদেশি কোম্পানিগুলোও অনেক সময় ব্র্যান্ড চুরির ভয়ে এদেশে ব্যবসা করতে নিরুৎসাহিত হয়। এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে মেধাস্বত্ব সুরক্ষা নিয়ে কাজ করতেই হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ, শফিকুল ইসলাম ভরসা, আবু মোতালেব, হাফেজ হারুন, ইকবাল শাহরিয়ার, মো. নাসের, ড. নাদিয়া বিনতে আমীন, আক্কাস মাহমুদ, উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মনজুরুর রহমান, এম এস সিদ্দিকী, মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, এস.ও.এম. রাশেদুল কাইয়্যুম ও ওসমান গণি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমকে/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।