ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জমে উঠেছে আগরতলা বইমেলা

সুদীপ চন্দ্র নাথ, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
জমে উঠেছে আগরতলা বইমেলা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা: জমে উঠেছে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা বইমেলা। উমাকান্ত একাডেমি ময়দানে আয়োজিত ৩৪তম বইমেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিনই।



সন্ধ্যা নামতেই উপচেপড়া ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠছে মেলা প্রাঙ্গণ। ছোট বড় বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বইয়ের স্টলগুলিতে। আবার কোনো কোনো স্টল কর্তৃপক্ষ স্টলের মধ্যেই গানসহ কবিতা পাঠের আসর বসাচ্ছে প্রতিদিন সন্ধ্যায়।

ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলা চত্বরে বই, ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোচনা করছেন বক্তারা।

তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, মেলায় দৈনিক বই বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ লাখ রুপির। কিন্তু বিক্রেতাদের বক্তব্য ঠিক বিপরীত, আগের বছর গুলির তুলনায় বই বিক্রি কম হচ্ছে বলেই জানালেন তারা।

তাদের মতে, প্রতিদিন মেলা প্রাঙ্গণে মানুষ আসছেন ঠিকই, স্টলে স্টলে তারা ভিড়ও করছেন। তবে, তাদের বেশীর ভাগই দর্শক, বসন্তের সন্ধ্যায় চুটিয়ে আড্ডা মারার জন্য বইমেলা চত্বরকেই তারা বেছে নিচ্ছেন বলে মত বই বিক্রেতাদের।

তবে, কয়েকজন প্রকাশক জানান, তারা বই বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট। বিভিন্ন ধরনের বই বিক্রি হচ্ছে তাদের স্টলে। ইংরেজি বইয়ের বিক্রি তুলনামূলকভাবে বেশী হচ্ছে বলে জানান এক বিক্রেতা। মূলত কম বয়সীরাই ইংরেজি ভাষার বই চাইছেন বলেও জানান তিনি।

প্রতিবছর আগরতলা বইমেলায় ত্রিপুরার পাশাপাশি গৌহাটি, কলকাতা, দিল্লি সহ বাংলাদেশের প্রকাশকরা বিভিন্ন বিষয়ের বই নিয়ে হাজির হন, কিন্তু এবছর বহিঃরাজ্যের ও বাংলাদেশের বই বিক্রেতারা কম এসেছেন। মেলায় রাজ্যের প্রকাশকদের সংখ্যাই বেশী। বইমেলায় বাংলাদেশের মাত্র দুটি স্টল রয়েছে। তারা জানান, বই বিক্রি তেমন ভালো নয়।

আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের কারণে বই বিক্রিতে কিছুটা প্রভাব ফেলছে বলেও বিক্রেতাদের একাংশের মত।

বইমেলা প্রাঙ্গণের খাবারের দোকানগুলির বিক্রি অনেকটাই ভালো হচ্ছে বলে জানান দোকানের মালিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
পিসি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।