ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে নয়া সরকার

শুক্রবার বেলা ১টা ১ মিনিটে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ মমতার শপথ

আনোয়ারুল করিম ও রক্তিম দাশ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১১
শুক্রবার বেলা ১টা ১ মিনিটে ‘মুখ্যমন্ত্রী’ মমতার শপথ

কলকাতা থেকে: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগামী শুক্রবার বেলা ১টা ১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ৩১ মিনিট) শপথ নেবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।

প্রথাগতভাবে কলকাতায় রাজভবনে এ শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।



শপথ অনুষ্ঠান হবে রাজভবন প্রাঙ্গণে। সেখানে প্যান্ডেল তৈরিসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের পূর্ত এবং তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ কাজে সহায়তা করছে।

রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন মঙ্গলবার বিকেলে শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে মমতা ব্যানার্জিকে এরইমধ্যে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল।  

শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজ্যের সদ্য সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে আমন্ত্রণ জানাবেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সংসদ সদস্য এবং নব নির্বাচিত এমএলএদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া সদ্যসাবেক হওয়া মন্ত্রী ও এমএলএ’রাও আমন্ত্রণ পাবেন।  

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও নয়া বিধানসভার উপ-নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মমতা ব্যানার্জির একটি চিঠি রাজ্যপালকে পৌঁছে দেন। রাজ্যপালের আমন্ত্রণ জানিয়ে দেওয়া চিঠির জবাবে মমতা এই চিঠি লেখেন।     

রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজভবনের বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের জানান, ‘শপথ অনুষ্ঠানের জন্য রাজ্যপালের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে মমতা ব্যানার্জির চিঠি নিয়ে আমি রাজ্যপালের কাছে যাই। ’

পার্থ বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, শুক্রবার বেলা ১টা ১মিনিটে মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবে মমতা ব্যানার্জির সরকার। ’  

তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল আমাকে জানিয়েছেন, মমতা ব্যানার্জির পরিবারকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ’

শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নিজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি।

প্রধানমন্ত্রী ওইসময় দেশের বাইরে থাকবেন বলে তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না। আর কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়াও মমতাকে পাকা কথা দেননি, তিনি পরে জানাবেন বলে মমতাকে জানান।

বৃটিশভারতে কলকাতা রাজধানী থাকার সময় এই ভবন বড়লাটের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরবর্তীতে রাজধানী দিল্লিতে চলে গেলে এটিতে ছোটলাট বাস করতেন।

দেশবিভাগের পর এই ঐতিহাসিক ভবনটির নামকরণ করা হয় রাজভবন। রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি ‘গভর্নর’ বা ‘রাজ্যপাল’র বাসভবন হিসেবে এটি ব্যবহৃত হতে থাকে। এখানে রাজ্যপালের দপ্তরও অবস্থিত।     

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।