ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

টাকা খরচে ব্যর্থ মমতার এমপিরাও

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩
টাকা খরচে ব্যর্থ মমতার এমপিরাও

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাজের গতি বাড়াতে তৈরি হচ্ছে মন্ত্রীদের রিপোর্ট কার্ড। তৈরি হচ্ছে কাজের প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার।

সরকারি তহবিলের টাকা খরচ করতে পারেননি সংসদ সদস্যরা। কারণ জানতে চেয়ে মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠাল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

শুধুমাত্র রাজ্যের মন্ত্রীরাই নন উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা খরচ করতে ব্যর্থ রাজ্যের সংসদ সদস্যরাও। সম্প্রতি এমপিল্যাডের ডিরেক্টর ডি সাইবাবা দীর্ঘ চিঠি পাঠিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রকে।

চিঠির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ক্যাগের রিপোর্টও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে এমপিল্যাডে রাজ্যের জন্য বরাদ্দের ২০০ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে। সঞ্জয় মিত্রকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন টাকা খরচ করা যায়নি?


আগে লোকসভা এবং রাজ্যসভা সংসদ সদস্যরা তাদের এলাকা উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর ২ কোটি টাকা করে পেতেন। ২০১১ সালে তা বেড়ে হয়েছে সংসদ সদস্য পিছু ৫ কোটি টাকা।

কিন্তু বেশীরভাগ সংসদ সদস্যই তা খরচ করতে পারছেন না বলে জানানো হয়েছে মুখ্যসচিবকে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যে সমস্ত সংসদ সদস্য’র হাতে ৪ কোটির বেশি টাকা পড়ে রয়েছে সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন......

বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য শাতাব্দী রায়। তাঁর হাতে পড়ে রয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা। এমপিল্যাডের টাকা খরচের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জঙ্গিপুরের কংগ্রেস সংসদ সদস্য অভিজিত্‍ মুখোপাধ্যায়। তিনি ফেলে রেখেছেন ৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

ব্যর্থতার তৃতীয়স্থানে রয়েছেন আরামবাগের সিপিআইএম সংসদ সদস্য শক্তিমোহন মালিক। তিনি কাজে লাগাতে ব্যর্থ ৭ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। দক্ষিণ কলকাতার সংসদ সদস্য সুব্রত বক্সি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন তিনি। খরচ করতে পারেননি সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

আরেক ডাকসাইটে তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যবহার করতে পারেননি ৬ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ফেলে রেখেছেন ৫ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। সুলতান আহমেদ ৬ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা।

তাপস পাল ৫ কোটি টাকা। ব্যর্থতায় বাদ নেই বিক্ষুব্ধ দুই তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য। একজন যাদবপুরের কবীর সুমন। খরচ করতে পারেননি ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। অন্যজন ডায়মন্ডহারবারের সোমেন মিত্র। ফেলে রেখেছেন ৬ কোটি টাকা।

এমপিল্যাডের টাকা খরচে এ রাজ্যে সাফল্যের শীর্ষে রয়েছেন বনগাঁর সংসদ সদস্য গোবিন্দ নস্কর। ২০ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা পেয়ে তিনি খরচ করেছেন ১৯ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। সাফল্যের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দার্জিলিং থেকে নির্বাচিত বিজেপির জসবন্ত সিং। তাঁর হাতে পড়ে আছে মাত্র ১ কোটি। সাফল্যের তৃতীয়স্থানে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য শুভেন্দু অধিকারী।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।