ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সোমবার তিস্তায় বাঁধ নির্মাণ করছে ভারত-বাংলাদেশ

কলকাতা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৩

কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ মহকুমার জিরো পয়েন্টে তিস্তা নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করবে উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন।

নদীবাঁধ তৈরি করা নিয়ে সোমবার পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের কুচলিবাড়িতে বৈঠকে বসছে ভারত-বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল।

ভারতের পক্ষে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করছেন উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

বাংলাদেশের পক্ষে থাকছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আহাকান আলি। উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা মেখলিগঞ্জ শহরকে তিস্তার গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এই বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার চড়কা হরিবাড়ি এলাকাতেও তিস্তার উপর বাঁধ নির্মাণ করা হবে। দুই দেশের নিজ নিজ এলাকায় বাঁধ নির্মাণ কাজে যাতে কোনোরকম ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য এই বৈঠক। বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর পদস্থ অফিসাররাও উপস্থিত থাকবেন।

জানা গেছে, গত দু’বছরে তিস্তা মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি এলাকায় গতিপথ পরিবর্তন করেছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নীলফামারী জেলার চড়কা হরিবাড়ি গ্রাম এলাকায় ঢুকে পড়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন করার কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার জমি-বাড়ি কাঁটাতারের বেড়াসহ সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জলপাইগুড়ি থেকে প্রবাহিত হয়ে এই নদী কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। কিন্তু গত দু’বছরে তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন করে মেখলিগঞ্জ শহরের দিকে আসতে থাকায় শহর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তা নিয়ে উদ্বিগ্ন উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন।

একই চিত্র বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার চড়কা হরিবাড়ি গ্রামে। উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাঁধ নির্মাণের বিষয় নিয়ে সোমবার কুচলিবাড়িতে বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে বসছে। কীভাবে সীমান্তের ওই এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে, তা ওই বৈঠকে আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৩
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।