ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালে প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি চিকিৎসকরা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালে প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি চিকিৎসকরা ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (সিইআইটিসি) তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে ৫ম বারের মতো আসা অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে।  

১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া দুই পর্বের প্রশিক্ষণ চলে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রশিক্ষণের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- ছানি, গ্লুকোমা, রেটিনা, অকুলোপ্লাস্টি, কর্নিয়ার রোগের চিকিৎসা, নিউরো অফথালমোলজি ওয়ার্কশপ, অপটোমেট্রিওয়েবিনার, নার্সিং এবং বায়োমেডিক্যাল সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ।

এ প্রকল্পে সহায়তা করেছে অ্যালকন কেয়ারস, অ্যালকন ফাউন্ডেশন, ফেডএক্স, অফথালমোলোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি), বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন (বিসিপিএস) এবং ন্যাশনাল আই কেয়ার।

এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় সমাপনী অনুষ্ঠান কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। অংশগ্রহণ করেন অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, কর্মকর্তাসহ ৫০ জন।  

উপস্থিত ছিলেন সিইআইটিসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন, অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক মরিস গ্যারি, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলমগীর, দৈনিক পূর্বকোণ’র প্রকাশক ও পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জমান ওসমানী, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, আজীবন সদস্য, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তাসহ অতিথিরা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিইআইটিসি’র মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডা. রাজীব হোসেন।

অনুষ্ঠানে অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালককে ক্রেস্ট ও উপহার তুলে দেন অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। অন্য ৪৯ জন অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, টেকিনিশিয়ান, কর্মকর্তাকে সিইআইটিসি’র পক্ষ থেকে উপহার তুলে দেওয়া হয়।

সিইআইটিসি’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সবসময় এ ধরনের কার্যক্রমে অরবিসের সাথে কাজ করবে।  

অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল কার্যক্রমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জমান ওসমানী বলেন, অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পাশাপাশি হাসপাতালভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের চক্ষু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আরও জোরদার করলে সম্বলিত ভালো ফলাফল আসবে। এখানে প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি চিকিৎসকরা।

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট (গ্লোবাল কমিউনিকেশনস অ্যান্ড মার্কেটিং) ক্রিস্টিন টেইলর বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে অরবিস ৭৮ লাখেরও বেশি চক্ষু পরীক্ষা পরিচালনা করেছে, ৪৫ লাখেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের জন্য চিকিৎসা ও অপটিক্যাল সেবা প্রদান করেছে, ২ লাখ ৫৮ হাজারেরও বেশি চক্ষু সার্জারিতে সহায়তা করেছে এবং ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে চক্ষু চিকিৎসার ওপর প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

প্রশিক্ষণার্থী ডা. শেহেলি জেসমিন বলেন, গ্লুকোমা সার্জারি, ফেকো সার্জারি, লেজার চিকিৎসাসহ অনেক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছি। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে কৃত্রিম চোখের ওপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আধুনিক সার্জারি সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪ 
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।