ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নারী জাগরণে ভূমিকা রাখছে চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৪
নারী জাগরণে ভূমিকা রাখছে চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব  ...

চট্টগ্রাম: আনন্দঘন ও প্রাণবন্ত পরিবেশে গৌরবের ৬৫ বছর উদযাপন করলো চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব।  

শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় লেডিস ক্লাবের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জেসমিন আক্তার।

তিনি বলেছেন, দিনের মতো সমাজকে আলোকিত করতে সন্ধ্যায় সলতে জ্বালানোর কাজটি করছেন সমাজের কিছু অগ্রসর নারী। যারা সংসার চক্রে আবদ্ধ না থেকে ঘরের বাইরে এসে অনগ্রসর মানবজগতকে, সমাজকে নানামুখী কল্যাণে আলোকিত করছেন।

নিজেদের যোগ্যতা, পারদর্শিতা দেখিয়ে অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সমাজ উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে গৌরবময় ভূমিকা রাখছেন। চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের এসব নারী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেও নিরলস কাজ করছেন। তারা একে অপরের সুখে-দুঃখে সমখুশী-সমব্যথী। তারা সমাজসেবার ফাঁকে ফাঁকে বিনোদন করে থাকেন।  

চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাব নারী জাগরণ ও নারীসমাজকে সচেতন করার পাশাপাশি সুস্থ, সুন্দর, সাহিত্য-সংস্কৃতির মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানবসেবা ও জনকল্যাণ কাজের মধ্য দিয়ে নিজেরা অনেকের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছেন।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লাব সভানেত্রী খালেদা আউয়াল। বক্তব্য দেন ক্লাবের উপদেষ্টা সাবেক যুগ্ম সচিব ড. জয়নাব বেগম। তিনি লেডিস ক্লাবের নারীদের তারুণ্যে উদ্দীপ্ত এক ঝাঁক নারী আখ্যায়িত করে বলেন, এরা বয়স্ক হলেও এদের মধ্যে অবাক করা সততা, নিষ্ঠা, কর্মস্পৃহা ও প্রচুর প্রাণশক্তি রয়েছে। সমাজের এমন কোনো দিক নেই এরা বিচরণ করেননি। সদর্পে সমাজে বিশাল অবদান রেখে চলেছে এসব নারী। এরা একতাবদ্ধ হয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে রীতিমতো দুঃসাহসিক কাজও করে থাকেন। আমরা আশাবাদী এরা অনবদ্য কর্মচাঞ্চল্যে শেকড় থেকে শিখরে উঠে যাবেন।

সংক্ষিপ্ত ক্লাব পরিচিতি তুলে ধরেন ক্লাবের সাবেক সভানেত্রী জিনাত আজম। ত্রি-বার্ষিক প্রতিবেদন ও লেডিস ক্লাব বালিকা সদনের প্রতিবেদন পাঠ করেন ক্লাব সম্পাদিকা বোরহানা কবির। স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সহ সভানেত্রী পারভিন জালাল। ক্লাব সদস্যা কবি মর্জিনা আখতারের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাবেক রোটারি গভর্নর এমএ আউয়াল, কবি-সাংবাদিক রাশেদ রউফ, কাজী রুনু বিলকিস।

অনুষ্ঠানে দুই দশক ধরে ক্লাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৪ জন সদস্যাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।  

দ্বিতীয় পর্বে ক্লাব সদস্যা রুহী মোস্তফা ও আক্তার বানু ফ্যান্সীর সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোরাস গানে অংশ নেন সালমা রহমান, নাজনীন আরা শান্তা, পারভিন জালাল, খন্দকার ইসমত আরা, শাহানা আক্তার জাহান, রেহেনা আক্তার জাহান, মর্জিনা আখতার, সুলতানা নূরজাহান, নাসরিন সরোয়ার মেঘলা, ডা. হাফসা সালেহ, মিনু আলম, লায়লা ইব্রাহিম বানু, ফারহানা হক ও আশরাফুন্নেসা।

একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন রুহী মোস্তফা, সালমা রহমান, নাজনীন আরা শান্তা, শাহানা আক্তার জাহান, রেহানা আক্তার জাহান। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন সেলিনা আখতার দম্পতি। কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী আয়েশা হক শিমু ও ক্লাব সদস্যা নাছিমা শওকত। নৃত্যশিল্পী সোমা বোসের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম একাডেমির শিল্পীরা। কৌতুক নাটিকা উপস্থাপন করেন ক্লাব সদস্যা আক্তার বানু ফেন্সী ও আশরাফুন্নেসা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।