ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

২০ বছর ধরে বিএনসিসির পিইউও, পদোন্নতি বঞ্চিত চবি শিক্ষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
২০ বছর ধরে বিএনসিসির পিইউও, পদোন্নতি বঞ্চিত চবি শিক্ষক ...

চট্টগ্রাম: বিএনসিসি অফিসার হিসেবে সকল নিয়ম মেনে পদোন্নতির জন্য আবেদন করে পদোন্নতি না পাওয়ায় বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চবি বিএনসিসির প্রফেসর আন্ডার অফিসার (পিইউও) ড. মো. শহীদুল হক।  

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

 

এসময় ড. শহীদুল হক বলেন, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম কর্ণফুলী রেজিমেন্টের ২১ জন বিএনসিসি অফিসার পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ২০ জন শিক্ষক পদোন্নতি পান।

কিন্তু পিইউও পদ থেকে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদের জন্য আবেদনকারী সকল বিএনসিসি অফিসারের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম ও এ ক্ষেত্রে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও আমাকে বিএনসিসিতে কমিশন ও পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।  

তিনি বলেন, চবিতে ২০০৪ সালের ২৭ নভেম্বর বিএনসিসির পিইউও হিসেবে যোগদান করি। ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) প্রি-কমিশন ট্রেনিংয়ে সর্বোচ্চ মার্কস পেয়ে ‘বেস্ট পারফর্মার’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। পদোন্নতির যাবতীয় শর্ত পূরণ ও যোগ্যতা অর্জন করে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করেছি।  

গত ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব ড. মো. মাহবুবুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিএনসিসি অফিসারদের মধ্যে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ড. মো. শহীদুল হকের নাম না থাকায় মর্মাহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।  

তিনি মনে করেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিএনসিসির পিইউও হিসেবে কাজ করা ও একই পদে আবেদনকারীদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতম হওয়া সত্ত্বেও অন্য সকলকে পদোন্নতি দেওয়া ও তাকে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা চরম বৈষম্য ও অবিচারের শামিল।  

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে আজ আমি নিজেই চরম বৈষম্যের শিকার। নতুনভাবে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে এ বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।  

বিএনসিসি অফিসার হিসেবে পদোন্নতির জন্য ২০২০ সালের আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য দাবি জানান ড. শহীদুল হক। এ ব্যাপারে তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান, বিএনসিসি ডিজি ও সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২৪ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।