ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা টানা বাউন্সারে অহেতুক ভয় পায়: শামি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা টানা বাউন্সারে অহেতুক ভয় পায়: শামি ছবি: সংগৃহীত

বাউন্সারকে সমীহ করে না, এমন ব্যাটসম্যান খুব কমই আছে। বিশেষ করে তা যদি হয় টেস্টে। সাধারণত টেস্ট ক্রিকেটে বাউন্সারগুলোকে ছেড়ে খেলতে দেখা যায়। খুব কম সময়ই ব্যাটসম্যানরা বাউন্সারে শট খেলার চেষ্টা করেন। কারণ টাইমিংয়ে গণ্ডগোল হলেই ক্যাচ ওঠার সম্ভাবনা থাকে। 

বাউন্সার ঠিকঠাক সামাল দিতে না পারলে মনের অজান্তেই ভয় চেপে ধরে ব্যাটসম্যানদের। আর টানা বাউন্স হলে তো কথাই নেই।

ভুল-ভাল শট খেলার প্রবণতা বাড়ে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটে বলে মনে করেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি।  

গত বছরের নভেম্বরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে দিবারাত্রির টেস্ট বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য রীতিমত বিভীষিকা হয়ে আসে। গোলাপি বলে টাইগারদের জন্য রীতিমত ত্রাস হয়ে আসেন ভারতীয় পেসাররা। ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ শামিরা ছিলেন অনবদ্য। ম্যাচটি ইনিংস ও ৪৬ রানের ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

ব্যাটসম্যান মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ সেশনে এসে গোলাপি বলে বোলিং করার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন শামি। সেখানেই প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বাউন্সের প্রতি দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেন তিনি। সফরকারী ব্যাটসম্যানরা বাউন্সারকে অহেতুক ভয় পেয়েছেন বলে মনে করেন তিনি।

শামি বলেন, 'সত্যি বলতে, আমি বুঝতে পারছিলাম না গোলাপি বলের মধ্যে আলাদা কী আছে। ম্যাচ শুরু হয় বিকেলে, শুরুতে বোলিংয়ে বাড়তি কোনো সুবিধা পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্টে যখন খেললাম, এসজি বল নিয়ে, বলের সঙ্গে আলাদা একটা অনুভূতি হচ্ছিল। আমরা বুঝতেই পারছিলাম না বল সুইং করবে কি না। '

'আমি যখন বোলিংয়ে এলাম, আমি শর্ট বল করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি খেয়াল করে দেখেছি টানা শর্ট বল দিলে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা অহেতুক ভয় পায়। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই। যা হয়েছে তা বলতেই হবে। '

ইডেন গার্ডেনসের ওই ম্যাচের প্রথম দিন বাংলাদেশ দলের লিটন দাস ও নাঈম হাসান আঘাত পান শামির বাউন্সারে। এরপর ইশান্ত শর্মার বাউন্সারে মাথায় আঘাত পান মোহাম্মদ মিঠুন। উমেশ যাদবের বাউন্সারেও কাবু হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা।  

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সব উইকেট হারিয়ে করে মাত্র ১০৬ রান। এর মধ্যে দুই অংক ছুঁতে পারেন মাত্র ৩ ব্যাটসম্যান। কোনো রান না করেই বিদায় নেন ৪ ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ইনিংসে আসে ১৯৫ রান। এর মধ্যে প্রথম ১৩ রানেই ৪ উইকেট নাই হয়ে যায়। ভারতীয় পেসাররা মিলে দুই ইনিংসে তুলে নেন ১৯ উইকেট। শামির দাবি তাই মোটেই অযৌক্তিক নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।