ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

করোনা আতঙ্ক সত্ত্বেও খেলতে চান ক্রিকেটাররা, বললেন সুজন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
করোনা আতঙ্ক সত্ত্বেও খেলতে চান ক্রিকেটাররা, বললেন সুজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটেন আবাহনীর ক্রিকেটাররা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই মাঠের ক্রিকেট আপাতত বন্ধ।  তবে মঙ্গলবার (মার্চ ১৭) মিরপুরে এসে হালকা অনুশীলন করেছে ঢাকা আবাহনী। যদিও মূল উদ্দেশ্য ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন। সেখানেই আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, ডিপিএল খেলতে চান ক্রিকেটাররা।

সাংবাদিকদের সুজন জানান, দেশে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের কথা তারা জানেন। কিন্তু ক্রিকেটাররা যদি এখন খেলা বন্ধ করে বাড়ি চলে যান তবে সেটা তাদের জন্য আরও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মত তার।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা এসেছি। সেভাবে অনুশীলন করিনি, কারণ খেলা বন্ধ আপাতত। সত্যি কথা বলতে আমরা খেলতে চাই। ছেলেদের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই খেলতে চায়। যদিও জানি যে করোনার ভয়াবহতা চলছে। তারপরও এই যে ছেলেরা এখানে একাডেমিতে যতটা নিরাপদ আছে, দেশের বাড়িতে গেলে হয়তো ততটা নিরাপদ নয়। ছেলেদের এখন যদি ছেড়ে দিই, ওরা বাড়ি যাবে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করবে। অনেকেই থাকবে সেখানে, কখন কার কী হয় বলা মুশকিল। সবাইকে চিনবেও না। আক্রান্ত কেউ যদি কাছাকাছি থাকে, ওদের জন্য খারাপই হবে । ’

আবাহনী কোচ মনে করেন, এই সময়ে খেলা শেষ করতে না পারলে ডিপিএল শেষ করাটা কঠিন হয়ে পড়বে। সামনে বর্ষাকাল চলে আসলে বেশিরভাগ সময় খেলা বন্ধ থাকতে পারে। ফলে খেলায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।   

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এখানেই ওদের রাখতে। দেখা যাক, বোর্ড শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেয়। যদি খেলা না হয়, ওদের প্রতি পরামর্শ থাকবে যেন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার না করে নিজ দায়িত্বে যায়। আর এত লোক বাইরে থেকে এসেছে, সবার সম্পর্কে জানাও কঠিন। এখানে একাডেমিতে নিরাপদ থাকবে। আমরা মাঠের মানুষ। আমরা চাই খেলা হোক। খেলা মাঠে ফিরুক, ছেলেরা এটিই চায়। কারণ ক্রিকেট মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে। সামনে ঝড়-বৃষ্টি হবে। গরম আরও বাড়বে। আরও সমস্যা হবে খেলতে। আশা করি, দ্রুত সবকিছু ভালো হয়ে যাবে। করোনা ভাইরাস থেকে বাংলাদেশ মুক্ত থাকবে । ’

জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ‘এখন প্রিমিয়ার লিগ যদি বন্ধই থাকে কিংবা শুরু হতে না পারে, সামনে রোজার মাসও আসছে। ঠিকমতো শেষ করতে পারি কিনা, সেই প্রশ্ন থাকবে। তারপরও সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রাখতেই হবে। আশা করব, আমরা যত তাড়াতাড়ি পারা যায় মাঠে ফিরব। ছেলেরা খেলতে চায়। ’

খালেদ মাহমুদ মনে করেন জনসমাগম না হলেই এই ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভবনা কম থাকে। আর ডিপিএল দেখতে মাঠে তো দর্শক তেমন মাঠে আসে না। তাই খেলা চালিয়ে যেতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

তিনি বলেন, ‘বসে থাকলেও তো হবে না, চলতে তো হবে। মাঠে দেখছেন আপনারা, কয়টা লোক থাকে! কোর্ট-কাচারিতে লাখ লাখ লোক থাকে। ক্রিকেট তো বডি কন্ট্যাক্টের খেলাও নয়। মাঠে দর্শক হয় গুটি কয়েক। দর্শক বসেন অনেক দূরে, গ্যালারিতে। ক্রিকেটারদের কাছে ঘেষতে পারে না। সেদিক থেকে মনে হয়, সরকার থেকে অনুমতি পেলে দ্রুত শুরু করে দেওয়া যায় খেলা। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।