ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘চ্যাম্পিয়নস কাপ’ চালু করবে আইসিসি, বাধা ‘বিগ থ্রি’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
‘চ্যাম্পিয়নস কাপ’ চালু করবে আইসিসি, বাধা ‘বিগ থ্রি’ .

বিশ্বকাপ ছাড়াও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আগেই চালু হয়েছে। এবার এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নতুন এক টুর্নামেন্ট। ২০২৩-৩১ বর্ষচক্রের মধ্যে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

নতুন টুর্নামেন্টে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দল অংশ নিতে পারবে। মোট ম্যাচ হবে ৪৮টি।

সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও সমান ম্যাচ খেলা হয়েছিল। তবে একটা সমস্যাও আছে। নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে এরইমধ্যে ধনী ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে আইসিসি’র বিরোধ শুরু হয়েছে। ফলে আইসিসি’র প্রস্তাব বাস্তবায়নে বড় বাধা রয়েই যাচ্ছে।

আইসিসি’র প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০২৬ ও ২০৩০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৭ ও ২০৩১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পাশাপাশি ২০২৪ ও ২০২৮ সালে টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০২৫ ও ২০২৯ সালে ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ, প্রতি বছরই আইসিসি’র কোনো না কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট থাকবে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সমান মর্যাদা পাবে ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়নস কাপ। আর টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নস কাপকে হয়তো বিশ্বকাপের সমান মর্যাদা দেওয়া হতে পারে। এই আসরগুলোতে অংশ নিতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে আইসিসি’র পূর্ণাঙ্গ সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে।

আইসিসি’র প্রস্তাবে নাখোশ ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই), ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এই তিন বোর্ড নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু আইসিসি’র পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন কমে যাবে, ফলে তিন বোর্ড আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবে।

ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের নিয়েও আলাদা চ্যাম্পিয়নস কাপ আয়োজন করতে চায় আইসিসি। এখানেও টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই আয়োজিত হবে টুর্নামেন্ট।

আয়োজক আহ্বান করে যে দরপত্র দেওয়া হবে, তাতে রাজস্ব আয়ের শর্ত জুড়ে দিয়েছে আইসিসি। শর্ত অনুযায়ী, প্রতি ইভেন্ট থেকে টিকিট, হসপিটালিটি এবং ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে আয় করতে পারবে আয়োজক দেশ। তবে এর বাইরে বাণিজ্যিক এবং সম্প্রচার স্বত্ব থাকবে আইসিসি’র হাতে।

নতুন টুর্নামেন্ট আয়োজনের পেছনে আইসিসি’র যুক্তি, ক্রিকেটের ছোট দেশগুলোর আয়ের কথা চিন্তা করে প্রতি বছর একটি করে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করা জরুরি। কিন্তু মূল সমস্যা ওই ‘বিগ থ্রি’র। নিজেদের আয় কমে যাওয়ার ভয় পেয়ে বসেছে তাদের।  নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন তো আছেই, এছাড়া আইপিএলের ম্যাচসংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বিসিসিআই।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী বোর্ড আইপিএলের বাইরে আরও একটি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর আয়োজন করবে। সেটাও এখন হুমকির মুখে। ওদিকে ইংল্যান্ডের ‘১০০ বলের ক্রিকেট’ আয়োজন নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে। এখন দেখার বিষয় আইসিসি বনাম বিগ থ্রি’র লড়াই কোথায় গিয়ে গড়ায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।